সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় তবুও তিনি রাজার হালে থাকতেই স্বচ্ছন্দ্য। তা যতই তাঁকে কারাবাসে পাঠানো হোক। জেলেও রাজার মেজাজে থাকতে চান বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। আর সিপাই-সান্ত্রী না হোক, জেলে বাদী-খানসামা রাখতে তো পারেনই তিনি। অন্তত আরজেডি প্রধানের পক্ষে তা অসম্ভব কিছু নয়। তাই আগেভাগেই অন্নদাতার দেখভালের জন্য লালুর দুই খাস কর্মচারী জেলযাপনের ফন্দি এঁটে শিরোনামে উঠে এসেছে। সাহেবের কারাবাস হতে পারে তা আঁচ করেই রাঁধুনি ও পরিচারক ভুয়ো অপরাধের সাজা কাটতে জেলে গিয়ে উঠেছেন। তাও আবার লালুর জন্য বরাদ্দ জেলেই। একেই না বলে আনুগত্য! বিরসা মুণ্ডা সংশোধনাগারের আনাচে-কানাচে এই গল্প পাঁচকান হতেই নড়েচড়ে বসেছে ওয়াকিবহাল মহল।
[অরুণাচলে ফের লালফৌজের আগ্রাসন রুখে দিল ভারতীয় সেনা]
১৯৯৭ সালের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ৬৯ বছরের রাজনীতিবিদ লালুকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বিরসা মুণ্ডা জেলে পাঠানো হয় তাঁকে। কিন্তু প্রভুর অনুগত দাস রাঁধুনি লক্ষ্মণ ও পরিচারক মদন যাদব আগে থেকেই মতলব ভেজে জেলে ঢুকে যায়। কীভাবে? তা জানলে অবাক হতে হয়। এক প্রতিবেশীকে দিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করার ফন্দি আঁটে মদন। রাঁচির বাসিন্দা মদন গোয়ালা। সেই তাঁর প্রতিবেশীকে রাজি করিয়ে লোয়ার বাজার থানায় এক অভিযোগ দায়ের করায়। অভিযোগ, মদন এবং লক্ষ্মণ তাঁকে মারধর করে ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়েছে।
[ঋতুস্রাব সংক্রান্ত ছুৎমার্গ, নারী সম্মানে পথ দেখাবে হিমাচল]
এফআইআর রুজু হতেই পরিকল্পনামাফিক এক আইনজীবী লালুর জেলযাত্রার আগেই মদন ও লক্ষ্মণকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে সাহায্য করেন। হিসাবমতো দেওঘর ট্রেজারি মামলায় পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে লালুর সাজা হতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দুই প্রভুভক্ত। তাদের প্ল্যান কাজে এসেছে তাহলে। তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই লালুবিরোধীরা ময়দানে নেমেছেন। লালুর এই বরাবরের ‘সামন্তপ্রথা’র বিরুদ্ধে হয়েছেন। জেলের ভিতরে লালু রাজ্যপাট খুলে বসেছেন বলে অভিযোগ তুলছেন তাঁরা। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয়, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে লোয়ার বাজার থানার দারোগা সুমন কুমারও উধাও। কাজেই আসছেন না তিনি। তবে কি আরজেডির কারসাজিতেই এই ঘটনা? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে দলের মুখপাত্র শক্তি সিং যাদব ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, মিডিয়া লালুকে নিশানা করেছে। লক্ষ্মণ ও মদন জেলে আছে কি না তা জানা নেই তাঁর। শাসকদল জনতা দলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় ঝা গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছেন।
[৩.২ কোটির ডলার পাচারের চেষ্টা, হাতেনাতে ধরা পড়ল বিমানসেবিকা]
The post জেলেও বহাল রাজ্যপাট, প্রভুভক্ত রাঁধুনি ও পরিচারককে নিয়ে খোশমেজাজে লালু appeared first on Sangbad Pratidin.