অর্ণব আইচ ও কলহার মুখোপাধ্যায়: মদ্যপ স্বামী (Husband)। নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকে। দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল ক্রমশ। বৃহস্পতিবারও নিত্যদিনের রুটিনের কোনও বদল নেই। মাথার ঠিক রাখতে পারেনি স্ত্রী। রুটি বানানোর সময় অশান্তির মাঝে বেলন দিয়ে স্বামীর মাথায় সজোরে আঘাত করে বসে সে। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় স্বামীর। প্রমাণ লোপাট করতে সেপটিক ট্যাঙ্কে স্বামীর দেহ লুকিয়ে রাখে স্ত্রী। তবে তাতেও শেষরক্ষা হল না। দমদমের বেদিয়াপাড়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত মহিলা।
নিহতের নাম গণেশ দাস। শুক্রবার সন্ধেয় কার্তিক দাস নামে এক ব্যক্তি দমদম (Dum Dum) থানায় অভিযোগ করেন গণেশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি জানান, গণেশ শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন গণেশের কোনও খোঁজখবর দিতে পারছেন না বলেই জানান। তারপরই পুলিশ বেদিয়াপাড়ায় গণেশের শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয়। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর পুলিশ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গণেশের দেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত রুটি তৈরির বেলনও। পুলিশ নিহত গণেশের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অপরাধ কবুল করেছে ময়না। সে জানায়, প্রতিদিন মদ্যপান নিয়ে গণেশের সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত তার। সেই বিবাদের জেরেই শুক্রবার রাগের বশে বেলুন দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আর তারপর মৃত্যু হয় গণেশের। প্রমাণ লোপাট করতেই সেপটিক ট্যাঙ্কে তার দেহ লুকিয়ে রাখে ময়না। ফেলে দেয় খুনে ব্যবহৃত বেলনও।
[আরও পড়ুন: Independence Day 2021: দুয়ারে রেশন থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ট্যাবলোয় সেজে উঠছে Red Road]
গণেশ দাসের পরিজনদের দাবি, বছর দশেক আগে ময়না দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের কয়েকমাস পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতে শুরু করেন গণেশ। তারপর থেকেই গণেশ মদ্যপানের নেশায় বুঁদ হয়ে যায়। তা নিয়ে গণেশ ও ময়নার মধ্যে অশান্তি হত। গণেশের পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। খুনের নেপথ্যে শুধুই মদ্যপানের জেরে অশান্তি নাকি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের যোগসূত্র রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।