সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থ হলে মা’কেই পাশে চায় সন্তান। তেমনই ছেলের সর্দি হওয়ায় তার সেবা-শুশ্রূষা করছিলেন মা। ছেলের থেকে তিনিও সংক্রমিত হন। কিন্তু সেই ঘটনার জল যে এতদূর গড়াবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি ৪৩ বছরের ক্লেয়ার মাফে-রিস। গত ২০ বছরের সমস্ত স্মৃতি খোয়ালেন তিনি!
শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই দাবি করেছেন ক্লেয়ার। তিনি জানান, ২০২১ সালের একটি রাতে ছেলের থেকে সংক্রমিত হয়েছিলেন। পরের দিন ঘুম থেকে উঠেই একেবারে বদলে যায় জীবনটা। কিছুই মনে করতে পারছিলেন না তিনি। গত ২০ বছর তাঁর জীবনে কী কী ঘটেছে, সে সব স্মৃতি একেবারেই ধূসর হয়ে যায়। তাঁর এমন অবস্থা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। তবে বিস্ময়ের এখানেই ইতি ঘটেনি। ক্লেয়ারের শারীরিক অবস্থারও চূড়ান্ত অবনতি ঘটে। এমনকী ১৬ দিনের জন্য তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন!
[আরও পড়ুন: একশো বছরেও বদলায়নি ব্লেডের আশ্চর্য নকশা, কেন জানেন?]
স্ত্রী ক্লেয়ারের জীবনের সেই অবিশ্বাস্য ঘটনার কথা মনে পড়লে আজও শিউরে ওঠেন স্বামী স্কট। তিনি বলছিলেন, ছেলে ম্যাক্সের থেকে সর্দি লেগেছিল ক্লেয়ারেরও। সপ্তাহ দুয়েক ভুগেছিলেন। কিন্তু তারপর তাঁর শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। হাসপাতালেও ভরতি করতে হয়েছিল। তাঁকে এক সপ্তাহ ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল। এরপর চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, তাঁর মস্তিষ্কে অন্তক্ষরণ হয়েছে। কিন্তু পরে আবার জানা যায় তিনি এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত। এরপরই দেখা যায়, ধীরে ধীরে ধূসর হচ্ছে ক্লেয়ারের স্মৃতি। বিয়ে থেকে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া- কিছুই মনে করতে পারেন না তিনি।
আজও মনে করার চেষ্টা করেন কীভাবে প্রেমিক তাঁকে দিয়েছিল ভালবাসার প্রস্তাব। কিন্তু সব স্মৃতিই আজ ধূসর। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন ক্লেয়ার। বর্তমানে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। মাঝে মাঝে অতীত স্মৃতি ঘাঁটার চেষ্টা করলেও এখনও সফল হননি। তাঁর এমন অদ্ভুত রোগ বিস্মিত করেছে চিকিৎসক মহলকেও।