সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুজনের সম্পর্কের বয়স ৫ বছর। এই দীর্ঘ সময় একসঙ্গে পথ চলার পর প্রেমিককে বিয়ের কথা বলেছিলেন প্রেমিকা। কিন্তু বিয়েতে বেঁকে বসেন প্রেমিক। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। চরম ক্ষোভে প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে টুকরো করার অভিযোগ উঠল ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পেশায় চিকিৎসক। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক চলছে যুবকের।
এই ঘটনা বিহারের সারন জেলার। জানা গিয়েছে, ওই যুবক মধুরা ব্লকের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হাজিপুরের এক তরুণীর। যিনি পেশায় চিকিৎসক। পুলিশের জেরার মুখে অভিযুক্ত দাবি করেন, ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু বিয়ের কথা বললে আপত্তি জানান যুবক। বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তার পর কোনও মতে তাঁকে রেজিস্ট্রি করার জন্য রাজি করিয়েছিলেন তরুণী। কথা মতো রেজিস্টার অফিসে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। কিন্তু আসেননি প্রেমিক। এতেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন তরুণী।
[আরও পড়ুন: ‘রাহুলের মতো আচরণ নয়’, NDA-এর সংসদীয় বৈঠকে সহবতের পাঠ মোদির]
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল, সোমবার পরিকল্পনা মতো প্রেমিককে বাড়িতে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত তরুণী। অভিযোগ, ওই যুবক বাড়িতেই আসতেই ছুরি নিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে টুকরো করে ফেলেন। তার পর সেগুলো শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে ফ্ল্যাশ করে দেন তিনি। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন যুবক। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। থানায় খবর দিলে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় তরুণীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।