অভিরূপ দাস: তিনি করোনামুক্ত। কিন্তু হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে লেখা নেই। ফলে কিডনির ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে মহা বিপাকে প্রৌঢ়া তপতী কুণ্ডু। হাওড়ার ওই প্রৌঢ়া জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগছিলেন। করোনা টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। টানা ২২ দিন ভরতি ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। অবশেষে করোনামুক্ত হওয়ায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তিনি। দুটি কিডনি ৩০ শতাংশ নষ্ট। করোনামুক্ত ওই প্রৌঢ়া এরপর বেলেঘাটা আইডিতে ডায়ালিসিস করতে যান। তখনই শুরু হয় বিপত্তি।
বেলেঘাটা আইডির পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়, উনি এখনও করোনামুক্ত নন। রোগীর ডায়ালিসিস হবে না। পরিবারের লোকের দাবি, উনি তো করোনা মুক্ত। কিন্তু ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে কোথাও তার উল্লেখ না থাকায় গন্ডগোল বাধে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন উনি যে ‘করোনামুক্ত’ সেটা ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে লিখিয়ে আনতে হবে। পরিবারের লোকেরা ফের মেডিক্যাল কলেজে ফিরে আসেন। সেখানেই পুনরায় অ্যাডমিশন নেওয়া হয় ওই প্রৌঢ়াকে। কেন এমনটা হল? মেডিক্যাল কলেজের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘টানা ১০ দিন কোনও উপসর্গ না থাকলে কোভিড রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার জন্য কোনও ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রয়োজন পরে না। এনার ক্ষেত্রে যে এমনটা হবে জানা যায়নি। আমরা পুনরায় ওঁকে ভর্তি করে টেস্ট করেছি। নিয়ম অনুযায়ী করোনা মুক্ত লিখে দেওয়া হবে।’
[আরও পড়ুন: করোনায় মৃত রোগীর মোবাইল চুরির অভিযোগ, ফের বিতর্কে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ]
এদিকে পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও নতুন করে রিপোর্ট না আসায় শুরু হচ্ছে না ডায়ালিসিস। এদিকে রোগীর সপ্তাহে তিনদিন করে ডায়ালিসিসের প্রয়োজন। অবিলম্বে ডায়ালিসিস না হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। যাঁরা করোনা থেকে সেরে উঠছেন তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, টানা ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য। পরিবারের প্রশ্ন, সম্পূর্ণ করোনামুক্ত রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার সময় কেন করোনামুক্ত লিখে দেওয়া হচ্ছে না?
[আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে ব্যবহৃত মাস্ক-গ্লাভস ফেলার জন্য কলকাতা জুড়ে হলুদ ড্রাম বসাচ্ছে পুরসভা]
The post করোনামুক্ত লেখা নেই হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে, মহা বিপাকে প্রৌঢ়া appeared first on Sangbad Pratidin.