সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে দেশের চিকিৎসা পরিষেবার করুণ চিত্র। হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক না থাকায় শৌচাগারে সন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা। তবে দুর্ভাগ্য, শেষপর্যন্ত বাঁচল না শিশুটি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানায় (Telengana)। এই খবর সামনে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার ভিকারাবাদ (Vikarabad) জেলার তান্দুরে (Tandur)। গত বুধবার ভোর সাড়ে তিনটের সময় আচমকাই প্রসব যন্ত্রণা দেখা দেয় ওই মহিলার। মনীষা নামে মালরেড্ডিপল্লির বাসিন্দা ওই মহিলাকে তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হয় তান্দুরের সরকারি হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: ঘাসের আড়ালে আগ্নেয়াস্ত্র লুকিয়ে নাশকতার ছক, কাশ্মীরে আল বদর জঙ্গিডেরা থেকে গ্রেপ্তার ৪]
কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনও চিকিৎসক নেই। এরপর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালের শৌচাগারে চলে যান মনীষা। সেখানেই স্বাস্থ্য কর্মীদের কোনওরকম সহায়তা ছাড়াই শিশুর জন্ম দেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত মারা যায় শিশুটি। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিশুটির পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে তাঁরা। বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রাও। তাঁদেরও দাবি, ওই সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই কাজ করে চলেছে।
যদিও গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, ”শৌচাগারে ওই মহিলা এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন, একথা জানতে পেরেই ছুটে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু অক্সিজেন দেওয়া হলেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। ” এদিকে, চিকিৎসক না থাকার প্রসঙ্গে অদ্ভুত সাফাই দেন জেলা সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিক, তিনি বলেন, ”ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা হয় ছুটিতে রয়েছেন, কিংবা অন্যকাজে ব্যস্ত থাকার কারণেই সেসময় হাসপাতালে কেউ ছিলেন না। তবে অন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের সেখানে রোগী দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল”। অবশ্য এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার কথাও জানান তিনি।