কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ। খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরিজনদের দাবি, স্বামীর অসুস্থতার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই মহিলা। সে কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। রাজারহাটের (Rajarhat) শিখরপুর রায়পাড়া এলাকার ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। নিহত মহিলার পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
রাজারহাট শিখরপুর রায়পাড়া এলাকায় দোতলা একটি বাড়িতেই থাকতেন অনিমা রায় নামে বছর সাতান্নর ওই মহিলা। সোমবার ভোরবেলা ওই বাড়ির দোতলায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আগুন জ্বলতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই মহিলার পরিবারেরই সদস্যরা। চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন তিনি। তার হইচইতে অন্যান্যরা জড়ো হয়ে যায়। স্থানীয়দের তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। এরপর রাজারহাট থানায় খবর দেওয়া হয়। রাজারহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ততক্ষণে মহিলার দেহের অর্ধেকের বেশি অংশ পুড়ে গিয়েছে। মহিলার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তে পাঠায়।
[আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে বিদায় নিল মেট্রোর নন-এসি রেক, পাতালরেল চালানোর অভিজ্ঞতা শোনালেন প্রথম চালক]
জানা গিয়েছে ওই মহিলার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন। সে কারণে মানসিক অবাসাদে ভুগছিলেন তিনি। কারও সঙ্গে কথাবার্তাও বিশেষ বলতেন না। সকলের সঙ্গে মেলামেশা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। আর তার ফলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণহানি হয়েছে ওই মহিলার। মৃতার পরিজনেরাও মনে করছেন স্বামীর অসুস্থতা সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত আত্মহত্যার (Suicide) বিষয়ে এখনই নিশ্চিত হতে পারছেন না তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, রবিবার বাঁশদ্রোণীর পোস্টাল পার্ক এলাকায় এক মহিলার রহস্যমৃত্যু হয়। ওই এলাকার একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। মহিলার সারা শরীরে বৈদ্যুতিন তার জড়ানো ছিল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁর প্রাণহানি হয়েছে বলেই অনুমান। তবে কীভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন তিনি, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।