সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়ার স্মৃতি এখনও পুরোপুরি মুছে যায়নি। তাজা হাথরাসের ক্ষতও। এর মধ্যেই ফের গণধর্ষণের (Gangrape) পর নৃশংসভাবে খুনের খবর এল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে। ৫০ বছরের এক মহিলাকে গণধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মন্দিরের পুরোহিত ও তার দুই সাগরেদের বিরুদ্ধে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে মহিলার পাঁজর। এমন ঘটনায় ফের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে উঠেছে যোগীর রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পরে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির এসএইচও-কে সাসপেন্ড করা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছে দুই অভিযুক্ত।
রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বদায়ুন জেলার উঘইতি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। সন্ধে গড়িয়ে রাত হলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁকে বাড়ির দরজায় ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় তিন অভিযুক্ত। নির্যাতিতার ছেলের অভিযোগ, পুরোহিত ও তাঁর সাগরেদরা মায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার করেছে।
[আরও পড়ুন : ভারতীয় হিন্দু মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে! কাঠগড়ায় বাংলাদেশি নেতার ছেলে]
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ধর্ষণের সময় মহিলার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। ভারী পাথরের আঘাতে বুক ও পাঁজরের হাড়ও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তপাতের জেরেই সেদিন রাতেই হাসপাতালে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ এনেছে নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, উঘইতি থানার স্টেশন অফিসার (এসএইচও) রবেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ ঘটনাস্থলে যাওয়ার তাগিদ পর্যন্ত দেখাননি। মৃতার ময়নাতদন্ত নিয়েও গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। পরে অবশ্য অভিযোগ পেয়ে স্টেশন অফিসারকে সাসপেন্ড করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা হল স্থানীয় পুরোহিত বাবা সত্যনারায়ণ, তাঁর সহযোগী বেদরাম এবং গাড়ির চালক জসপাল। এদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও তাদের দাবি, পুজো দিতে গিয়ে মন্দিরের কাছে কুয়োতে পড়ে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। তাঁকে উদ্ধার করতেই বাকিদের ডেকে এনেছিলেন ওই পুরোহিত। সে কথা মানতে রাজি নয় পরিবার। ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে ময়নাতদন্তেও। বদায়ুন পুলিশ প্রধান সংকল্প শর্মা জানিয়েছেন, “ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে স্টেশন অফিসারকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।”