সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়ির পোষ্যদের প্রতিদিন বেড়াতে নিয়ে যেতেন তিনি। খুঁটিনাটি খেয়াল রাখতেন। তাদের কারও শরীর খারাপ হলে উদ্বিগ্নও হতেন। শেষ পর্যন্ত দুই পোষ্যের একজনের আক্রমণেই যে প্রাণ হারাতে হবে, তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি ৮২ বছরের বৃদ্ধা। লখনউয়ে (Lucknow) পোষা পিটবুল কুকুরের হামলায় ছিন্নভিন্ন ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধারের পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, সুশীলা ত্রিপাঠী নামের অশীতিপর ওই বৃদ্ধার ছেলে একটি জিমে ট্রেনারের কাজ করেন। তাঁর খুব কুকুরের শখ। আর তাই একটি ল্যাব্রাডর ও একটি পিটবুল কুকুর পুষেছিলেন। ব্রাউনি নামের ওই পিটবুলটিকে (Pitbull dog) অন্য কুকুরটির মতোই ভালবাসতেন সুশীলা দেবী। রোজ হাঁটাতে নিয়ে যেতেন। ঘটনার দিনও তিনি ওদের নিয়ে হাঁটতে বেরোচ্ছিলেন। কিন্তু তখনই আচমকা ব্রাউনি ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপরে। আর একের পর এক কামড় বসাতে থাকে।
[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তারি এড়াতে নয়া ছক, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ বিনয় মিশ্রের]
অসহায় পরিস্থিতিতে সুশীলা দেবী আর্ত চিৎকার করলেও প্রথমে কেউই এগিয়ে আসেননি। কিছুক্ষণ পরে বাড়ির কাজের লোক টের পেলে তিনি দ্রুত সেখানে পৌঁছন। ততক্ষণে রক্তে মাখামাখি হয়ে গিয়েছেন বৃদ্ধা। কাজের লোকের ফোনে খবর পেয়ে বাড়ি এসে মা’কে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর ছেলে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর দেখা গিয়েছে মহিলার শরীরে ১২ জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে। হাত, পা, পেট, পিঠ সর্বত্র রয়েছে কামড়ানোর চিহ্ন। এর মধ্যে মাথাতেও রয়েছে একটি গভীর ক্ষত। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ক্ষতচিহ্নগুলি পরীক্ষা করে বোঝা যাচ্ছে যত কুকুরটির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন ওই বৃদ্ধা ততই বেশি করে তাঁকে আক্রমণ করেছিল ব্রাউনি। পরে অবশ্য বৃদ্ধার ছেলেকে দেখে সে শান্ত হয়েই তার দিকে এগিয়ে আসে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তিন বছরের পোষ্য কুকুরটি এমন হিংস্র হয়ে উঠল কী করে?
আসলে পিটবুল কুকুরকে নিয়ে এমন অভিযোগ নতুন নয়। যদিও কুকুরটি এদেশে নিষিদ্ধ নয়। তবুও বলা হয়, এই প্রজাতির কুকুর পোষার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে। কেননা পিটবুল অনেক সময়ই মানুষকে আক্রমণ করে। এমনকী মেরেও ফেলে। প্রভুকেও কামড়ে দেয় তারা। লখনউয়ের ঘটনা পিটবুলের হিংস্র আচরণের আরেক নিদর্শন হয়ে রইল।