সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস কয়েক ধরেই শাশুড়ির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না বউমার। অশান্তি হলেই বাপের বাড়ির কথা তুলে খোঁটা দিত শাশুড়ি। এর ‘বদলা’ নিতে কুপিয়ে শাশুড়িকে খুন করল ৩৩ বছরের ললিতা দেবী। খুন করেও শান্তি হয়নি তার, শেষে রাগ মেটাতে শাশুড়ির একটা চোখও খুবলে নেয়। পরে অবশ্য গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত ললিতা দেবী। আপাতত গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।
পাটনার পরসা বাজারের ঘটনা। ৫৫ বছরের ধরমশিলা দেবীর ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় ললিতার। বিয়ের পর কয়েক বছর কেটে গেলেও ললিতার কোনও সন্তান হয়নি। এ নিয়ে ধরমশিলা দেবীর সঙ্গে নিত্যদিন অশান্তি হত। আর সেই সময় বারবার ললিতার বাপের বাড়ির কথা তুলে খোঁটা দিত সে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তাঁদের মধ্যে ফের অশান্তি বাঁধে। সেই সময় ললিতার স্বামী বাড়ি ছিলেন না। অশান্তি চলাকালীন শাশুড়ির মাথা থেঁতলে দেয় ললিতা। এরপর কয়েকবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাশুড়িকে কোপায় সে। পরে ধরমশীলার চোখ খুবলে নেয় ললিতা। এরপর নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সে।
[আরও পড়ুন : ‘কোনও মেয়ে ওঁকে বিয়ে করতে চায় না, বাচ্চারা হাসে’, রাহুলকে কটাক্ষ প্রজ্ঞার]
এদিকে ধরমশীলার চিৎকারের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ললিতা ও ধরমশীলাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ধরমশীলা দেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ৪০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ললিতা।
পাটনা সদরের এএসপি সন্দীপ সিং জানান, বিয়ের কয়েক বছর পরও সন্তান না হওয়ায় শাশুড়ি-বউমার প্রায়শই অশান্তি হত। অশান্তি চলাকালীন বউমার বাপের বাড়ির কথা নিয়েও খোঁটা দিত ধরমশীলা দেবী। সেদিন অশান্তি চলাকালীন পালটা আক্রমণ করে ললিতা। নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ললিতা সুস্থ হয়ে উঠলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।