কৃষ্ণকুমার দাস: রাজ্য় বাজেটে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। ষাটোর্ধ্ব যে সমস্ত মহিলারা বিধবা ভাতা পান না, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে তাঁদের বরাদ্দ বাড়ল। ৫০০-র বদলে মাসিক এক হাজার টাকা পাবেন তাঁরা। সরাসরি পেনশনের আওতায় চলে আসবেন তাঁরা। এদিকে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকল্পের বিরোধিতায় বিধানসভার বাইরে অভিনব প্রতিবাদ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্য়ের মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। মহিলাদের জন্য চালু হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলাদের জন্য মাসিক ১০০০ টাকা ও অন্যান্য মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা পেতেন। তবে এই ভাতা পেতেন ২৫-৬০ বছর বয়সিরা। এবার সেই প্রকল্পের আওতায় এলেন যাটোর্ধ্ব মহিলারাও। এতদিন ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে তাঁরা পেতেন বার্ধক্য ভাতা। এবার ষাটোর্ধ্ব মহিলারা বার্ধক্য ভাতা-সহ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্য বাজেট ২০২৩-২৪: সরকারি কর্মীদের সুখবর! ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা]
রাজ্য়ের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সুবিধা পান। ৬০ বছর পরেও যাতে তাঁদের ভাতা বন্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে তাঁদের সরাসরি পেনশনের আওতায় আনছে রাজ্য। প্রতি মাসে তাঁরা ১ হাজার টাকা পেনশন পাবেন। ফলে তাঁদের আর আলাদা করে আবেদনের ঝঞ্ঝাটে জড়াতে হবে না।
১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি মৎস্যজীবীদের জন্য নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। নাম ‘মৎস্যজীবী বন্ধু’। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি মৎস্যজীবীদের স্বাভাবিক বা অকালমৃত্যুতে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এককালীন ২ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করা হবে। এই খাতে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার।