shono
Advertisement

ভরে উঠেছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, অসময়েই গ্রামে লক্ষ্মীপুজো করলেন ফলতার গ্রামের গৃহবধূরা

ফলতার এই লক্ষ্মীপুজোয় শামিল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কও।
Posted: 02:46 PM Nov 20, 2021Updated: 03:01 PM Nov 20, 2021

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: অসময়ে গ্রামে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন। ধুমধাম করে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা চলছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (S24 Parganas) ফলতার দৌলতপুর গ্রামে। গ্রামের গৃহবধূরাই উদ্যোগী হয়ে আয়োজন করেছেন পুজোর। বৃহস্পতিবার থেকে সেই লক্ষ্মীপুজো (Laxmi Puja) ঘিরে উন্মাদনা গোটা গ্রামজুড়ে। কিন্তু আচমকা এই সময়ে ধনদেবীর পুজো কেন? কারণ খুঁজতেই বেরিয়ে এল চমকপ্রদ তথ্য। জানা গেল, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা পেয়ে এতটাই আপ্লুত গ্রামের মহিলারা যে ধন্যবাদজ্ঞাপনের জন্য তাঁরা অসময়ে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেছেন।

Advertisement

দৌলতপুর গ্রামের গৃহবধূ সোমা হালদার জানান, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmi Bhandar) প্রকল্পের টাকায় আমরা অনায়াসেই এখন ছেলেমেয়েদের ছোটখাটো আবদার মেটাতে পারছি। সংসারের প্রয়োজনে সময়ে-অসময়ে টুকটাক খরচ করতে ওই টাকাটাই হয়ে উঠছে মূল্যবান। মহিলাদের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা এই প্রকল্প সত্যিই বড় কাজে লাগছে। লক্ষ্মীলাভ তো বটেই। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ জমা পড়া টাকায় গৃহবধূরা মিলে আয়োজন করেছেন পুজোর।”

[আরও পড়ুন: গয়না চুরি নিয়ে ঝগড়াঝাটি, ছেলের হাতে ‘খুন’ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী]

গ্রামের আরেক গৃহবধূ শম্পা হালদার ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “কিছুদিন হল গ্রামের নব্বই শতাংশ মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা ঢুকে গিয়েছে। সংসারের টুকটাক প্রয়োজনে ‘দিদি’র দেওয়া ওই প্রকল্পের টাকা সত্যিই খুব কাজে লাগছে। গ্রামের মহিলাদের এই প্রকল্পের আওতায় এনে আমাদের অনেক সম্মান জানিয়েছেন ‘দিদি’। দেবীর কাছে ‘দিদি’র মঙ্গলকামনায় তাই এই পুজোর আয়োজন।”

[আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: লক্ষ্য রাজ্যের জন্য বিনিয়োগ, ডিসেম্বরে মুম্বই সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]

মহিলাদের উদ্যোগে হওয়া লক্ষ্মীপুজোর উদ্বোধন করেছেন ফলতার (Falta) বিধায়ক শংকরকুমার নস্কর। অসময়ে লক্ষ্মীর আরাধনায় গ্রামের গৃহবধূদের সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছেন তিনিও। বিধায়ক জানান, লক্ষ্মীপুজোর উদ্বোধনে তাঁকে যখন আমন্ত্রণ জানানো হয়, প্রথমে কিছুটা বিস্মিতই হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উদ্যোক্তাদের মুখে সবটা শুনে রাজি না হয়ে আর থাকতে পারেননি। তাঁর কথায়, “মহিলারা নিজেরাই বলছেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু হওয়ায় তাঁদের উপকার হয়েছে। ‘দিদি’র প্রশংসায় তাঁরা পঞ্চমুখ। খুশিতে উদ্বেল মহিলারা তাই এমন অসময়ে মেতেছেন লক্ষ্মীর আরাধনায়। সেই আনন্দে গা ভাসিয়েছেন গোটা গ্রামের সব ধর্মের মানুষ। সেখানে না এসে কি পারা যায়?”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার