সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরকীয়ায় জড়িয়েছেন স্ত্রী! স্রেফ এই সন্দেহের বশে বধূর গোপনাঙ্গে লঙ্কা ঢুকিয়ে দিল গুণধর স্বামী। নক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) মানিকচক থানা এলাকার নজিরপুর বেগমগঞ্জে। স্বামীর বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা।
বছর পনেরো আগে মানিকচক থানা এলাকার নজিরপুর বেগমগঞ্জের বাসিন্দা সীতেশ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই মহিলার। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত সীতেশ। সবসময় মনে করত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্ত্রী। এই সন্দেহের বশে চলত মারধর। বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে ছেলেমেয়েরা ছুটে গেলে তাঁদেরও ব্যাপক মারধর করত সীতেশ। বৃহস্পতিবার এই অত্যাচার চরমে ওঠে। অভিযোগ, রাত এগারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরে স্ত্রীর উপর চড়াও হয় সীতেশ। ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করে। এরপরই রাগের বশে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে লঙ্কা গুঁজে দেয় অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: ঘর থেকে উদ্ধার বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ, খুন নাকি আত্মহত্যা? ঘনাচ্ছে রহস্য]
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নির্যাতিতা। শুধু নির্যাতিতা নন, পুলিশের কাছে বাবার বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন তিন ছেলেমেয়েও। বড় ছেলে নজিরপুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। সে বলে, “আমার বাবা প্রায়ই মাকে মারধর করে। কেন মারধর করে তা জানি না। তবে মাকে বাবার হাত থেকে বাঁচাতে গেলে আমাদের ও ব্যাপক মারধর করে।”
নির্যাতিতার কথায়, “বিয়ের পর থেকে সংসারের অশান্তিতে জ্বলছি। স্বামী আমাকে সন্দেহ করে। কোনও কারণ ছাড়াই আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে। বৃহস্পতিবার আমাকে ব্যাপক মারধর করে। শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টাও করে। গোপনাঙ্গে লঙ্কা গুঁজে দেয়। জ্বালা যন্ত্রণায় আমি ছটফট করেছি। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।”