বাংলাদেশ: ৮০/৮ (নিগার ৩২, শর্ণা আখতার ১৯, রেণুকা ১০/৩)
ভারত: ৮৩/০ (শেফালি ২৬, স্মৃতি ৫৫, জাহানারা ১৭/০)
১০ উইকেটে জয়ী ভারত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Women's Asia Cup 2024) ভারতের মেয়েদের দাপট অব্যাহত। শুধু দাপট বললে বোধহয় কম বলা হয়। বাংলাদেশকে রীতিমত দুরমুশ করে ফাইনালে চলে গেলেন হরমনপ্রীতরা। বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮০ রানে বেঁধে রেখে ওখানেই কাজ শেষ করে দেন রেনুকা সিং-রাধা যাদবরা। সেখান থেকে ভারতের মেয়েদের (India Women's Team) ম্যাচ জিততে কোনও অসুবিধাই হয়নি। ৫৪ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল তারা।
এদিন রণগিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত যে হিতে বিপরীত হবে, তা বোধহয় ভাবতে পারেনি বাংলাদেশ দল। শুরুতেই আক্রমণ করেন রেণুকা সিং। দিয়ারা আখতার, মুরশিদা খাতুন এবং ইসমা তাঞ্জিম, বাংলাদেশের প্রথম সারির তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিয়ে তাঁদের ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দেন রেণুকা। তার পর শুরু হয় রাধা যাদবের দাপট। তিনিও তুলে নেন তিন উইকেট। একমাত্র বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৩২ রান করে কিছুটা চেষ্টা করেন। ১৯ রান করেন শোরনা আখতার। বাংলাদেশের আর কারওর রান দুই সংখ্যা ছোঁয়নি। একটি করে উইকেট নেনে পূজা বস্ত্রকর এবং দীপ্তি শর্মা। বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় মাত্র ৮০ রানে।
[আরও পড়ুন: খাবারের সংকট প্যারিস অলিম্পিকে, ডাল-রুটি খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন ভারতীয় বক্সার]
ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কাছে এই লক্ষ্য কিছুই নয়। বিশেষ করে শেফালি বর্মারা যে ফর্মে আছেন, তাতে কত দ্রুত তাঁরা এই রান তুলে নেবেন, সেটাই দেখার ছিল। আর ভারতের দুই ব্যাটার যেন শুরুও করলেন সেটা মাথায় রেখে। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই উঠে যায় ৪৬ রান। শেফালি বর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে স্মৃতি মান্ধানা অনায়াসে তুলে নেন এই রান। তার মধ্যে একবার স্মৃতি ক্যাচ আউট হলেও সেটি নো বল হয়। হাফসেঞ্চুরি করে যান তিনি। শেফালিরও একটি ক্যাচ পড়ে। অর্থাৎ ব্যাটিং-বোলিংয়ের মতো ফিল্ডিংয়েও সুযোগ হাতছাড়া বাংলাদেশের। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে টানা ৯ বার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেল ভারতের মেয়েরা।