সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৈরিকীকরণের কোপে কি এবার বিশ্বকবি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখার জাতীয়তাবাদ সংক্রান্ত বিষয় বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল আরএসএস অনুমোদিত সংগঠন। যা নিয়ে দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। প্রবল সমালোচনায় পিছু হটে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন পাঠ্যপুস্তক থেকে বিশ্বকবিকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান তাঁর দপ্তরে অজস্র সুপারিশ আসে। তিনি আশ্বস্ত করেন এমন কিছু করা হবে না যাতে সমস্যা তৈরি হয়।
[পাঠ্যবইয়ে অপ্রয়োজনীয় রবীন্দ্র রচনাবলী, বাতিলের সুপারিশ RSS-এর ]
অমর্ত্য সেন, মির্জা গালিবের পর বিশ্বকবিকে নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাকি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে খাপ খায় না। তাই কবিগুরু সম্পর্কিত অংশ ইংরেজি পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়ার জন্য এনসিইআরটি-র কাছে সুপারিশ জানায় আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংগঠন শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস। ওই সংগঠনের বেনজির প্রস্তাবে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূল, বাম, কংগ্রস-সহ বিরোধী দলগুলি এর বিরোধিতায় সোচ্চার হয়। সোমবার রাজ্যসভায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এই নিয়ে রাজ্যসভায় নোটিস দেয় তৃণমূল। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর বক্তব্য দাবি করা হয়। মঙ্গলবার সংসদের উচ্চকক্ষে বিরোধীদের দাবি মেনে জবাব দেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়কর। মন্ত্রী জানান স্কুলপাঠ্য থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। জাভড়েকর জানান, কোনও কিছুই বাদ দেওয়া হবে না। দেশবাসী এই বিষয়ে আশ্বস্ত হতে পারেন। মন্ত্রীর সংযোজন, কোনও পদক্ষেপে সমস্যা তৈরি হতে পারে মনে হলে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। জিরো আওয়ারে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে কারও সার্টিফিকেট দেওয়ার নেই। বক্তব্য রাখা শেষ হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিশ্বকবির লেখা তিনটি বই পড়ার জন্য উপহার দেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক।
[আচমকাই সংসদে মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী কথা, সৌজন্য সাক্ষাতে জল্পনা]
উর্দু কবি মির্জা গালিবের লেখা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়েও রাজ্যসভায় হট্টগোল হয়। সপা সাংসদ নরেশ আগরওয়াল এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন আরএসএস জানেই না উর্দু ভারতীয় ভাষা। ন্যাসের প্রস্তাব অবিলম্বে খারিজ করে দেওয়ার কথা একযোগে দাবি করে বিরোধী দলগুলি। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে পাঠ্যবইয়ে কী ধরনের পরিবর্তনের করা যায় তা নিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল। তাদের কাছে এই ব্যাপারে ৭০০টি প্রস্তাব আসে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ন্যাসের এই বিতর্কিত সুপারিশ।
The post কোপ নয় কবিগুরুর রচনায়, আশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.