সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের অন্যতম স্তম্ভ। প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও শীর্ষ পদে। কলকাতার মেয়রের মতো গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। আচমকাই সব ওলটপালট। ব্যক্তিগত জীবনে বিপর্যয়। আর তারপরই মাথাচাড়া দিয়ে উঠল পদত্যাগের সম্ভাবনা। দলের থেকে দূরত্ব বাড়ার জল্পনায় ছেয়ে গেল চতুর্দিক। যদিও ধোঁয়াশা কাটিয়ে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন, সেরকম কোনও সম্ভাবনা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই তিনি তাঁর উপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করে চলবেন। সেইসঙ্গে বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার কথাও অকপটে জানিয়ে দিলেন তিনি।
[ পুজোর আগে গান্ধীজির জন্মদিনেই ছুটবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ]
দলের কোর কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতার অনুপস্থিতি অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কোথাও কোথাও জল্পনা ছড়াচ্ছিল যে ব্যক্তিগত জীবনের বিপর্যয় মেয়রের কাজে প্রভাব ফেলেছে। তার জেরে দল, সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, সোমবারও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। কোনওরকম গুজবে কান না দিয়ে, তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মেয়র জানিয়ে দিলেন, পদত্যাগ থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর অনেক গল্প ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু সে সবের কোনও সারবত্তা নেই।
[ ১২ ঘণ্টায় ২১টি পেসমেকার বসিয়ে নজির গড়ল এসএসকেএম ]
ব্যক্তিগত জীবনের জটিলতা নিয়েও এদিন মুখ খোলেন মেয়র। জানান, ১৯৯৫ সালে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর প্রশ্ন, কেউ কি শখ করে বিবাবিচ্ছেদের মামলা করে? তিনি যখন নিজে থেকে তা করেছেন, তখন বোঝাই যাচ্ছে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছিল যেখান থেকে আর সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি সংগঠনের শীর্ষপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জল্পনা ছড়ায়। এদিন মেয়র খুব খোলাখুলি জানিয়ে দেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের বিপর্যয়ের সময় পাশে থেকেছেন বৈশাখি। তিনি বলেন, আমি কী সমস্যায় ছিলাম সে তো শুধুই আমি জানি। অন্য অনেকেই বুঝতে পারবেন না, কারণ এটা উপলব্ধির বিষয়। সেরকম সমস্যা আর কারও জীবনে নেমে আসুক তাও চান না তিনি। এই পরিস্থিতিতে বৈশাখি তাঁর পাশে ছিলেন। এজন্য তিনি কৃতজ্ঞ। এবং যিনি বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁর পাশেও দাঁড়াতে চান মেয়র। জানান, “বৈশাখি পারিবারিক বন্ধু। তাঁর পাশেই থাকব। আর আমার জন্য বৈশাখির উপর কোনও আঘাত নেমে আসুক তা আমি চাই না।” সংগঠন থাকবে কি থাকবে না তা দলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু মেয়রের সঙ্গে সম্পর্কের জন্য বৈশাখীকে যদি কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তবে তিনি মর্মাহত হন বলেই জানান মেয়র। সেই সঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, বিবাহিত জীবন আর জোড়া লাগার কোনও সম্ভাবনা নেই। বলেন, অনেকেরই বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। আমারটাও সেরকম হবে। এমনকী মৃত্যুতেও স্ত্রীর পাশে, পৈতৃক বাড়িতে আর ফিরতে চান না বলেই জানিয়েছেন অভিমানী মেয়র।
[ মর্মান্তিক! দুষ্কৃতীদের মারে মৃত বাবা, জখম মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও ]
The post মৃত্যু হলেও স্ত্রীর কাছে ফিরবেন না, তবে বৈশাখির পাশেই মেয়র appeared first on Sangbad Pratidin.