দীপঙ্কর মণ্ডল: প্রায় এক বছর পর শুক্রবার বেসরকারি স্কুলগুলিও পড়ুয়াদের জন্য শ্রেণীকক্ষের দরজা খুলে দিচ্ছে। তবে সরকারি নিয়ম মেনে শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস শুরু হবে। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠানোর আগে অভিভাবকদের একটি নির্দিষ্ট ফর্ম অনলাইনে বা হাতে-হাতে স্কুলে জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যে প্রত্যেক অভিভাবককে স্কুলের তরফে একটি বয়ান পাঠানো হয়েছে। অভিভাবকদের সেই বয়ানেই স্বাক্ষর করে লিখে দিতে হবে তাঁরা স্বেচ্ছায় নির্দিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রীকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন। অর্থাৎ স্কুলে এসে কোনও পড়ুয়া কোভিড পজিটিভ (Covid Positive) হলে তার দায় নেবে না বেসরকারি স্কুলগুলো।
কয়েকদিন আগে কেরলে (Kerala) স্কুল খোলার পর প্রায় ২০০ পড়ুয়ার কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাদ যাননি শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরাও। দক্ষিণের রাজ্যের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা ভাবাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী ও অভিভাবকদের স্বার্থে ইতিমধ্যে ৫২ পাতার একটি গাইডলাইন প্রত্যেকটি স্কুলে পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি স্কুলগুলি অভিভাবকদের ই-মেল বা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে একটি ফর্ম পাঠিয়েছে। অভিভাবকদের জানাতে হচ্ছে, তাঁরা নিজেদের দায়িত্বে বাড়ির ছেলে বা মেয়েকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন। অভিভাবকদের সম্মতিপত্র পাওয়ার পরেই নির্দিষ্ট পড়ুয়াদের জন্য রুটিন তৈরি করবে স্কুল।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল কার্যালয় থেকে দিতে হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড! দাবি না মানায় শ্লীলতাহানির শিকার উপপ্রধান]
কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বেসরকারি স্কুলগুলি ইতিমধ্যে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শেষ করেছে। স্থানীয় প্রশাসনও স্কুলগুলিকে স্যানিটাইজেশন-এ সাহায্য করছে। তবে কোনও পড়ুয়া কোভিড পজিটিভ হলে সেই দায় নিতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ। সমস্ত স্কুলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি গাইডলাইন মেনে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসতে হবে। দূরত্ব বিধি মেনে, মুখে মাস্ক এবং নিজস্ব স্যানিটাইজার আনতে হবে সবাইকে। এর মধ্যেই আবার কোনও কোনও বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের জানাতে হচ্ছে, তাঁরা পড়ুয়াদের স্কুলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে গণপরিবহণ ব্যবহার করবেন না। তাঁদের বাড়িতে কারও জ্বর বা সর্দি-কাশি হয়নি। কোভিড উপসর্গ থাকা কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে তাঁরা গত ১৪দিন আসেননি। এমনই বেশ কয়েক দফা মুচলেকা লিখে বাড়ির ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে হবে অভিভাবকদের।
বেসরকারি স্কুলগুলি জানিয়েছে, সবকিছুই করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের স্বার্থে। অভিভাবকরা যেহেতু নিজেদের দায়িত্বে বাড়ির ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন, তাই কোভিড পজিটিভ হলে কোনও ভাবেই তার দায় স্কুল নেবে না।