সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজো, বন্যা, প্রতিবাদ, উৎসবের আবহে বৃহস্পতিবার 'সংবাদ প্রতিদিন'-এর দপ্তরে এসে একাধিক চোখা চোখা প্রশ্নের মুখে পড়লেন টলিউডের সুপারস্টার তথা ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব। নিজের আসন্ন সিনেমা মুক্তি থেকে রাজনীতি - সমস্ত কিছুর উত্তরই একেবারে দক্ষতার সঙ্গে দিলেন তিনি। 'সংবাদ প্রতিদিন'-এর কনসাল্টিং এডিটর কুণাল ঘোষের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় দেব নিজের যাবতীয় চ্যালেঞ্জের কথা জানালেন। প্রসঙ্গক্রমেই এল বন্যা মোকাবিলায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের কথা। দেব জানালেন, কাজ এগোচ্ছে। তবে সেই রাস্তা কঠিন। তারকা সাংসদের ইঙ্গিত, ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী সুখবর শোনাবেন।
ঘাটাল এলাকার বন্যা মোকাবিলায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয়তা নতুন নয়। কিন্তু দশকের পর দশক তার বাস্তবায়নের কাজ একচুলও এগোয়নি। ঘাটালের সাংসদ হওয়ার পর দেবই প্রথম সংসদে এনিয়ে সরব হন। নতুন করে মনে করান এই কাজের প্রয়োজনীয়তার কথা। দুবার তিনি সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। তৃতীয়বার তাই তিনি ঘাটাল থেকে আর ভোটে দাঁড়াতে চাননি। দলনেত্রীকে জানিয়েছিলেন, কাজ করতে না পারলে জনপ্রতিনিধি হতে চান না আর।
এর পর কালক্রমে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে দেবের ঘাটাল থেকে দাঁড়ানোর ইতিহাস দীর্ঘ। তৃতীয়বার রেকর্ড ভোটে তিনি জিতেছেন। আর পাখির চোখ করেছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে। তাঁর জেদকে সমর্থন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী নয়, রাজ্য সরকারই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করবে। তার জন্য দেবের সাংসদ হওয়া জরুরি। আর কথা দিয়ে কথা রাখার মানুষ দেব। জিতেই কাজে নেমে পড়েছেন।
পুজোর ঠিক আগে নিজের সিনেমার মুক্তি নিয়ে 'সংবাদ প্রতিদিন' দপ্তরে এসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা শোনালেন দেব নিজে। বললেন, ''কাজ এগোচ্ছে। আশা করি, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সুখবর দেবেন।'' তবে একা দেবের পক্ষেই এই কাজ সম্ভব নয়। তার জন্য ঘাটালের বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সেই কাজে ঘাটালবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন সাংসদ। এনিয়ে কুণাল ঘোষও মনে করিয়ে দিলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ সহজ নয়। একাধিক জটিলতা রয়েছে। তাই বন্যা সমস্য়া মোকাবিলায় মাস্টার প্ল্যান তৈরিতে শুধু দেবের উপর আশা করলেই হবে না, তাঁকে সাহায্য করতে হবে ঘাটালবাসীকেই।