সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতারে বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) কভার করতে গিয়ে ফের মৃত্যু হল এক সাংবাদিকের। খালিদ আল মিসলাম নামে এই কাতারি চিত্র সাংবাদিকের (Qatar Journalist) মৃত্যু হয়েছে শনিবার। কাতারেরই একটি টিভি চ্যানেলে কর্মরত ছিলেন খালিদ। প্রসঙ্গত, শুক্রবারেই মৃত্যু হয়েছিল মার্কিন সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়ালের। সমকামিতাকে সমর্থন করার ‘অপরাধে’ তাঁকে আটক করেছিল কাতারের পুলিশ। পরপর দু’দিন সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় স্বভাবতই নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে।
আল কাস টিভি নামে একটি চ্যানেলে কর্মরত ছিলেন খালিদ (Khalid Al Misslam)। ওই চ্যানেলের তরফে জানানো হয়েছে, “হঠাৎ করেই খালিদ আল মিসলাম নামে এক কাতারি সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হল ওই চিত্র সাংবাদিকের, তা অবশ্য জানা যায়নি। আশা করি তিনি আল্লার দয়া পেয়েছেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।” তবে খালিদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছু জানায়নি ওই টিভি চ্যানেল।
[আরও পড়ুন: ভারত ‘প্রভাবশালী’, নিরাপত্তা পরিষদে ‘স্থায়ী আসন’ চেয়ে দরবার ‘বন্ধু’ রাশিয়ার]
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মৃত্যু হয়েছিল মার্কিন সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়ালের (Grant Wahl)। বিশ্বকাপে আমেরিকার প্রথম ম্যাচে আল রায়ান স্টেডিয়ামে গ্রান্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। কারন সমকামিতার সমর্থনে তিনি রামধনু শার্ট পরেছিলেন। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা তাঁকে আটকায় ও ফোন কেড়ে নেয়। পরে অবশ্য ফিফা ক্ষমা চেয়েছিলেন গ্রান্টের কাছে। আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচেই আচমকা মাঠের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
এরপরই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় না কি চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রান্টের মৃত্য়ু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্টেডিয়ামে উপস্থিত অন্যান্য সাংবাদিকদের তরফে পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্টেডিয়ামে তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়েছিল। হৃদরোগ না কি মার্কিন সাংবাদিকের মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জল্পনা বাড়িয়েছে গ্রান্টের ভাই এরিকের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। তাঁর দাবি, মার্কিন সাংবাদিকের মৃত্যুর পিছনে কাতার প্রশাসন দায়ী। কেন কাতারের মাটিতে প্রাণ হারাচ্ছেন সাংবাদিকরা, তা নিয়ে রহস্য ক্রমেই বাড়ছে।