সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই ব্রহ্মাণ্ডে পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহেও রয়েছে প্রাণের অস্তিত্ব। আর তার প্রমাণ রয়েছে এই নীল গ্রহেই। আমেরিকায় লুকিয়ে রাখা আছে ভিনগ্রহীদের যান (UFO), এমনকী এলিয়েনের দেহও! এনিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। বিভিন্ন রিপোর্ট এলিয়েন নিয়ে মানুষের মনে কৌতুহল কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এবার আরেক চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করল আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। প্রায় ৩৫ বছর আগে, ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার সেনার উপর নাকি হামলা চালিয়েছিল ভিনগ্রহীরা। যার জেরে মুহূর্তের মধ্যে পাথরে পরিণত হয়েছিল ২৩ জন সৈনিক!
সময়টা ১৯৮৯ কিংবা ১৯৯০। সিআইএয়ের প্রকাশিত ২৫০ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী, সে সময় সাইবেরিয়ার এক ঘন জঙ্গলে সোভিয়েত রাশিয়ার সেনার একটি ইউনিটের মহড়া চলছিল। হঠাৎই তাঁরা মাথার উপর একটি ফ্লাইং সসার দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে কেউ কেউ গুলি করে বা মিসাইল ছুড়ে সেটিকে নামান। রিপোর্টের দাবি, মাটিতে আছড়ে পড়ার পর দেখা যায়, সেটি UFO। যার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে পাঁচ ভিনগ্রহী। তারা একসঙ্গে মিলে একটি বলের আকৃতি ধারণ করে। তারপরেই কোনও একটি শক্তি প্রবাহ তৈরি হয়, যার ফলে ২৩ জন সেনা পাথরে পরিণত হন।
জানা গিয়েছে, কেবল দু'জন সেনা সেই সময় ছায়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এলিয়েনদের ওই এনার্জির সংস্পর্শে সেভাবে না আসায়, তাঁরা বেঁচে যান। ওই দু'জনই জানান, ওই পাঁচ ভিনগ্রহী ভেঙে পড়া যান থেকে বেরিয়ে একসঙ্গে মিশে বলের আকৃতি নিয়েছিল। তারপরে সাদা রঙের খুব উজ্জ্বল আলোয় চারপাশে যেন এক বিস্ফোরণ হয়। তারপরেই একাধিক সেনা পাথরে পরিণত হয়ে যান।
সিআইএয়ের তথ্য বলছে, ওই ঘটনার পরেই ভিনগ্রহীদের যান এবং পাথরে পরিণত হওয়া সৈন্যদের মস্কোর গোপন ডেরায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সৈন্যদের আকৃতি কিছুটা চুনাপাথরের মতো হয়ে গিয়েছিল। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে হইচই পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে আমেরিকার রোজওয়েল অঞ্চলে প্রথমবার ভেসে উঠেছিল অজানা উড়ন্ত বস্তুর ধ্বংসাবশেষ মেলার দাবি। তারপর থেকেই গোটা বিশ্বে ক্রমশ বাড়তে থাকে ফ্লাইং সসার দেখার দাবিদারদের সংখ্যা।
