সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুষ্কৃতীদের বাধা দেওয়া তো দূর, তাদের সঙ্গে মিলে খলিস্তানি পতাকা হাতে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালান খোদ পুলিশ আধিকারিক। প্রবল চাপের মুখে সেই ঘটনায় অবশেষে পদক্ষেপ নিল ট্রুডো প্রশাসন। সাসপেন্ড করা হল অভিযুক্ত ওই পুলিশ আধিকারিককে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই পুলিশ আধিকারিকের নাম হরিন্দর সোহি।
রবিবার টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় খলিস্তানিরা। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে খলিস্তানি তাণ্ডবের সেই ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে হলুদ পতাকাধারী জঙ্গিরা। রেহাই পায়নি মহিলা ও শিশুরাও। মারধর করা হয় তাদেরও। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। বরং খলিস্তানি পতাকা হাতে এই হামলার ঘটনায় লিপ্ত হতে দেখা যায় পুলিশ আধিকারিক হরিন্দর সোহি। পুলিশের উপস্থিতিতেই মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চলে মন্দিরে।
এই ঘটনার পর প্রবল চাপের মুখে কানাডা পুলিশের তরফে এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, 'মন্দিরের বাইরে হিংসার ঘটনার যে ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ফুটেজ পুলিশ পেয়েছে। এই ফুটেজে এক পুলিশ আধিকারিককে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সামিল হতে দেখা গিয়েছে। অভিযুক্ত ওই আধিকারিককে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।' তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বিবৃতিতে মন্দিরে হামলার কথা স্বীকার করেনি কানাডার পুলিশ। বরং এই বিবৃতিতে পুলিশের দাবি, মন্দিরের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছিল। পাশাপাশি সেদিন কানাডার ভারতীয় কূটনীতিকের উপর হামলার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
উল্লেখ্য, রবিবার কানাডায় হিন্দুদের উপর এই হিংসার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'কানাডার হিন্দু মন্দিরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে আমি তার কড়া নিন্দা জানাচ্ছি। এই হামলার মাধ্যমে আমাদের কূটনীতিকদের ভয় দেখানো কাপুরুষোচিত পদক্ষেপ। এইভাবে ভারতের সংকল্পকে দুর্বল করে দেওয়া যাবে না। আমরা আশা করছি, দোষীদের শাস্তি দিতে কানাডার সরকার দ্রুত পদক্ষেপ করবে। আইনের শাসন কায়েম রাখবে।’