সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছে আমেরিকা। ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিস নাকি রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প? কে বসবেন হোয়াইট হাউসের গদিতে, সেদিকেই নজর বিশ্বের। আগামিকাল ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলেও গত অক্টোবর থেকেই আমেরিকায় শুরু হয়েছে আগাম ভোটপর্ব। বিভিন্ন সমীক্ষায় একে ওপরকে পিছনে ফেলছেন কমলা ও ট্রাম্প। তবে তাঁদের দুজনেরই ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৭টি অনিশ্চিত রাজ্য বা ‘সুইং স্টেট'- এর ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে। পাশাপাশি আগামিকাল ভোটগ্রহণ হবে মার্কিন কংগ্রেস বা আইনসভার দুকক্ষের।
এখন প্রশ্ন সুইং স্টেটগুলোর ফলাফল কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবকটি রাজ্য বা প্রদেশকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়। রেড স্টেটস (রিপাবলিকান), ব্লু স্টেটস (ডেমোক্র্যাট) ও সুইং স্টেটস। যার মধ্যে ১৯৮০ সাল থেকে রেড স্টেটসগুলোয় জয়লাভ করছেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা। ১৯৯২ থেকে ব্লু স্টেটসগুলো দখলে রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। প্রত্যেক নির্বাচনে অনুমান করাই যায় এই রাজ্যগুলো সাধারণত কোন দলের দখলে থাকবে।
অন্যদিকে অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, পেনসিলভ্যানিয়া এবং উইসকনসিন মিলিয়ে মোট এই ৭ প্রদেশ হল সুইং স্টেট। রেড আর ব্লু স্টেটগুলোর ফলাফল আগে থেকে অনুমান করা গেলে স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যেগুলোর রেজাল্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনও সময় সমস্ত সমীক্ষা উলটে দিতে পারে এই ৭ সুইং স্টেট। অতীতে দেখা গিয়েছে খুব কম মার্জিনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে সুইং স্টেটগুলোর ফলাফল।
নির্বাচনের নিয়ম অনুসারে গত অক্টোবর মাস থেকেই ভোটগ্রহণের সূচনা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর আগাম ভোট বা 'আর্লি ভোট' হয় ৪৭টি রাজ্যে। অবশেষে আগামিকাল ভোটদানের চূড়ান্ত দিন। সকলের বিশেষ নজর রয়েছে সুইং স্টেটসগুলোর পছন্দের উপর। ইতিমধ্যে দুদুল্লমান রাজ্যগুলোর কয়েকটিতে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। হাইভোল্টেজ এই আসনগুলো নিয়ে শেষ দুদিন ধরে সমীক্ষা করেছে নানা সংস্থা। আর তাদের রিপোর্ট বলছে, সুইং স্টেটগুলোয় পাল্লা ভারী ট্রাম্পের। ৪৯% ভোটের মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের থেকে রিপাবলিকানরা এগিয়ে রয়েছে মাত্র ১.৮ শতাংশের ব্যবধানে। অ্যারিজোনায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশের ব্যবধানে কমলা হ্যারিসের থেকে এগিয়ে ট্রাম্প। নেভাদায় রিপাবলিকান নেতার পক্ষে পড়েছে ৫১.৪% ভোট। কমলা হ্যারিসকে পছন্দ করেছেন ৪৫.১ %। নর্থ ক্যারোলিনায় ডেমোক্র্যাট নেত্রীকে পিছনে ফেলে ৫০.৪% ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প।