সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (United Nation) রুশ সেনাকে ইউক্রেন (Ukraine) থেকে সরানো নিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কিন্তু ভারতের মতোই ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকেছে চিনও (China)। এরপরই শুক্রবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির ডাক দিল বেজিং।
সম্প্রতি চিনের সঙ্গে রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘে ভোটদান থেকে তাদের বিরত থাকাও সেই অবস্থানেরই ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এই অবস্থায় ভারসাম্য বজায় রাখতেই নিজেদের ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান স্পষ্ট করতে চায় চিন। আর তাই এই শান্তি প্রস্তাব। নিজেদের প্রস্তাবের সপক্ষে ১২ দফা দস্তাবেজ পেশ করেছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে চিনের প্রস্তাব, শান্তি আলোচনাই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়। আর সেই প্রক্রিয়ায় চিন গঠনগত ভূমিকা নিতে চায় বলেও জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জাতিভেদ নিষিদ্ধ সিয়াটলে, মার্কিন মুলুকে ইতিহাসের কাণ্ডারি ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী]
উল্লেখ্য, শুক্রবার মস্কোয় গিয়েছেন চিনা শীর্ষ কূটনীতিবিদ ওয়াং ই। তাঁর এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁরা জিনপিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, পুতিনের কথা থেকেই স্পষ্ট, শীঘ্রই মস্কোয় আসতে চলেছেন জিনপিং। চিন, রাশিয়ার এই মাখামাখিকে ভাল চোখে দেখছে না আমেরিকা।
এই পরিস্থিতিতে চিন পশ্চিমী দেশগুলির দিকে আঙুল তুলছে বেজিং। তাদের অভিযোগ ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষে উসকানি দিচ্ছে পশ্চিমী দেশগুলি। তবে সেই সঙ্গে বেজিং এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে, রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কার্যতই ‘সীমাহীন’।
অন্যদিকে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর বর্ষপূর্তির দিনেই ফাঁস হল রুশ গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ভেবেছিলেন তিনদিনেই ইউক্রেন দখল করতে পারবেন। এই তথ্য নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে কূ্টনৈতিক মহলে।