সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। ভারতীয় সেনার আক্রমণের মুখে খান হয়েছে পাকিস্তানি প্রতিরোধ। দুই পড়শি দেশের উত্তেজনায় চিন্তিত আন্তর্জাতিক মহল। ফের একবার উদ্বেগ প্রকাশ চিনের। সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করলেও রাষ্ট্রসংঘের সনদ মেনে চলার বার্তা দিল বেজিং। এমনকী উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা নিতেও প্রস্তুত তারা। তাহলে কি এবার ভারত-পাক সংঘাতে নাক গলাচ্ছে চিন! উঠছে এমন প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার করাচি বন্দরে বড়সড় হামলা চালিয়েছে ভারত। অন্তত ১৬ টি পাক শহরে একযোগে চলে অ্যাকশন। কিন্তু রাতভর নাকানিচোবানি খেয়েও শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের। ভোরবেলায় ফের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে পাক সেনা। যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। সেনা সূত্র অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক আক্রমণ রুখে দিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ধ্বংস অন্তত ৫০টি পাক ড্রোন। এই পরিস্থিতিতে আজ শুক্রবার ফের বার্তা দিয়েছে চিন। সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লি জিয়ান বলেন, "ভারত-পাক উত্তেজনায় উদ্বিগ্ন বেজিং। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই চিনেরও প্রতিবেশী। যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমরা। কিন্তু আমরা চাই দু’দেশের মধ্যে শান্তি ফিরুক। আমরা স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আর্জি জানাচ্ছি। দুই দেশেরই উচিত আন্তর্জাতিক আইন ও রাষ্ট্রসংঘের সনদ মেনে চলা। বর্তমান উত্তেজনা প্রশমনে আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গেও কথা বলতে প্রস্তুত চিন।"
পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের দহরম মহরম বহুদিনের। 'বেল্ট অ্যান্ড রোড' প্রকল্পের 'ফাঁদে' ফেলে ইসলামাবাদের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে গত ৬ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলোতে আঘাত হানে ভারতের অপারেশন সিঁদুর। সেই সময় দুঃখ প্রকাশ করে বেজিংকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারতের এই সামরিক অভিযানে আমরা দুঃখিত। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। চিনের অবস্থান সব সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। আমরা ভারত-চিন দু’পক্ষকেই অনুরোধ করব শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য। এমন কোনও পদক্ষেপ করবেন না যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-পাক সংঘাতের পরিস্থিতিতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে চিন। গোটা ঘটনাপ্রবাহের উপর কড়া নজর রাখছে তারা। ভারতের বরাবর বলেছে, সীমান্ত সংঘাত হোক বা কোনও দেশের সঙ্গে সমস্যা, সেই সমাধান নিজে করার ক্ষমতা রাখে দিল্লি। এখানে তৃতীয়পক্ষের নাক গলানো মেনে নেওয়া হবে না। সেখানে বেজিং নিজে থেকে এগিয়ে আসছে দু'দেশের মধ্যে শান্তি ফেরাতে। যা কোনওভাবেই মেনে নেবে না সাউথ ব্লক।