shono
Advertisement

করাচি বিস্ফোরণের পরে পাকিস্তান ছাড়ছেন চিনারা, দোষীদের শাস্তি দিতে শরিফকে ফোনে চাপ বেজিংয়ের

পাকিস্তানের দাবি, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরোধী।
Posted: 03:55 PM May 17, 2022Updated: 03:55 PM May 17, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করাচি বিশ্ববিদ্যালয় (Karachi University blast) চত্বরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা কেন্দ্র করে পাকিস্তানের (Pakistan) উপর চাপ বাড়াল চিন (China)। ওই বিস্ফোরণে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের প্রধান ও আরও দুই শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনায় বেজিং যে পাকিস্তানের তরফে কড়া পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে তা পরিষ্কার করে দিয়েছে চিন প্রশাসন। এই বিষয়ে নতুন পাক প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। নিঃসন্দেহে, চিনের এহেন আচরণে পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়ল।

Advertisement

সোমবারই চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং টেলিফোন করেন শাহবাজ শরিফকে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই হামলায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার আরজি জানান তিনি। কথা বলার সময় লি এও বলেন, এই ঘটনায় পাকিস্তানে থাকা চিনা নাগরিকরা সকলেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন। তাই তাঁদের আশা, খুব দ্রুতঅভিযুক্তদের শাস্তি দেবে ইসলামাবাদ।

[আরও পড়ুন: বিপজ্জনক ঘোষণা করেছে পুরসভা, বউবাজারে এবার ভাঙা হবে অমর্ত্য সেনের বাড়িও

শাহবাজ শরিফ হামলায় মৃত চিনা নাগরিকদের মৃত্যুতে আরও একবার শোকপ্রকাশ করে সমবেদনা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

গত ২৬ এপ্রিল করাচি বিশ্ববিদ‌্যালয়ের ভিতর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যু হয়। জখম হন বেশ কয়েকজন। হামলার পরই চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অত্যন্ত কড়া ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “চিনের মানুষের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। যারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তাদের মূল্য দিতে হবে।” সেই থেকে লাগাতার পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়াচ্ছিল চিন। যা অব্যাহত থাকল সোমবারের ফোন কলের পরেও।

এর আগেও পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের হামলার শিকার হতে হয়েছে চিনা নাগরিকদের। করাচি বিস্ফোরণের পরে অন্য চিনা নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক তীব্রতর হয়েছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যে সব চিনা শিক্ষকরা অধ্যাপনা করছিলেন, তাঁরা সকলে ইতিমধ্যেই চিনে ফিরে গিয়েছেন। এই অবস্থায় তাই চাপ বাড়াল বেজিং।

উল্লেখ্য, করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় রীতিমতো চাপের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। মসনদে বসতে না বসতেই ক্রমশ বাড়তে থাকা বালোচ বিদ্রোহের মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাঁর প্রশাসনকে। একইসঙ্গে বন্ধু চিনকেও নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে হচ্ছে তাঁকে।

[আরও পড়ুন: ওয়ারেন্ট ছাড়া বিরোধী দলনেতার অফিসে তল্লাশি, হাই কোর্টে মামলা দায়ের শুভেন্দুর

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement