সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কবাণে ঘায়েল বহু দেশ। যদিও এই লড়াই সবচেয়ে বেশি জমে উঠেছে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে। একে অপরের দিকে শুল্কের মিশাইল ছুড়েই চলেছে দুই শক্তিধর রাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে চিন তাদের উড়ান সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে নতুন করে মার্কিং বহুজাতিক সংস্থা বোয়িং কোম্পানির থেকে কোনও বিমান যেন অর্ডার না করা হয়। সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের সূত্রে এমনটাই দাবি।

আসলে ট্রাম্প ১৪৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছেন চিনা পণ্যের উপরে। আর তারই ফলশ্রুতি বেজিং মার্কিন সংস্থাগুলি থেকে কোনও বিমান বা বিমানের যন্ত্রাংশ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। নিঃসন্দেহে এর ধাক্কা মার্কিন বাণিজ্যের উপরেও পড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ভারত, কানাডা, চিন-সহ একাধিক দেশের উপর ২ এপ্রিল থেকে ব্যাপক হারে শুল্ক চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের উপর ২৬ শতাংশ কর চাপালেও বাড়তে বাড়তি চিনের উপর পারস্পারিক কর ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। যদিও শনিবার মোবাইল, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিন চিপস-সহ বেশ কিছু পণ্যে করছাড় দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের জেরে কার্যত খাদের কিনারে চলে যাওয়া চিন কিছুটা হলেও উপকৃত হবে বলে মনে করছিল ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু তখনই মুখ খোলে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক। তারা জানিয়ে দিল, দু’একটি পণ্যে নয়, আমেরিকার উচিত তাদের নতুন শুল্কনীতি থেকে পুরোপুরি সরে আসা। আর তারপরই জানা গেল মার্কিন সংস্থার বিমান আপাতত কিনতে নারাজ বেজিং।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে গোটা বিশ্বের। যদিও শেষবেলায় হোয়াইট হাউসের সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ঘাড়ের উপর খাঁড়া এখনও সরাননি ট্রাম্প। পারস্পরিক শুল্কের উপর ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বের বাকি দেশগুলির জন্য। কিন্তু রেহাই মেলেনি চিনের।