সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানি হামলার মুখে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে আফগান সরকার। আমেরিকা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় আবার কাবুলের মসনদে বসেছে জেহাদি গোষ্ঠীটি। আর আফগানদের এই দুর্দশার ছবি তুলে ধরে হংকংবাসীর মনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করছে চিন (China)।
[আরও পড়ুন: ভারতকে ধাক্কা দিয়ে UNSC বৈঠকে তালিবানের পাশে চিন-রাশিয়া, জেহাদিদের মান্যতা দিল পাকিস্তান]
রবিবার বাঁধভাঙা জলের মতো কাবুলের প্রতিটি গলিঘুঁজিতে ঢুকে পড়ে তালিবান যোদ্ধারা। আফগানিস্তানের রাজধানী জেহাদিদের হাতে চলে যাওয়ার পরেই এবার হংকংকে হুঁশিয়ারি দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে চিনা সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে হংকংয়ের গণতন্ত্রকামীদের সতর্ক করেছে চিনা ট্যাবলয়েডটি। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যাকেই আমেরিকা সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেয় তা ‘দুর্ভাগ্য এবং সামাজিক অস্থিরতার মুখোমুখি হয়েই শেষ হয়।’ এছাড়াও চিনা সংবাদপত্রটির দাবি, আমেরিকার সঙ্গে সদ্ভাব ‘মারাত্মক পরিণতির’ দিকে নিয়ে যায়। বলে রাখা ভাল, উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে হংকং থেকে সন্দেহভাজন অপরাধীদের চিনে প্রত্যর্পণের জন্য আনা একটি বিল নিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন চিনপন্থী প্রশাসক ক্যারি ল্যাম। শেষমেশ সেটি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাশ হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদ, চিন সরকারের বিরোধিতা, সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম, জাতীয় সুরক্ষা বিপন্ন করতে বিদেশিদের সঙ্গে জোট বাঁধার মতো অপরাধের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে নয়া আইনে। হংকংয়ের রাজনৈতিক আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই আইন আদতে তাঁদের দমন করার কাজেই ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, হংকংয়ে গণতন্ত্র ফেরাতে আমেরিকার মদত চেয়েছিলেন স্বশাসিত প্রদেশের অনেকেই। আমেরিকাও বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর মতো একাধিক পদক্ষেপ করে। তবে তালিবানি আগ্রাসনের মুখে আফগান নাগরিকদের থেকে যেভাবে মুখ ফিরিয়েছে আমেরিকা তা দেখে বিস্মিত গোটা বিশ্ব। মিত্র হিসেবে ওয়াশিংটন কি আদৌ ভরসার যোগ্য? উঠছে এমন প্রশ্নই। আর সেই আশঙ্কা ও উদ্বেগ কাজে লাগিয়ে হংকংয়ের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কোমর ভেঙে দিতে তৎপর হয়েছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।