সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং উইয়ের আমেরিকা সফর ঘিরে কূটনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছিল, এবার হয়তো দুদেশের সম্পর্কে জমে থাকা বরফ গলতে পারে। কিন্তু ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে স্থিতাবস্থা আনতে এখনও গভীর ও দীর্ঘমেয়াদী আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন ওয়াং উই।
রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর আমেরিকা সফরে আসবেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। সেই মতো বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে পা রেখেছেন ওয়াং উই (Wang Yi)। বিদেশ দপ্তরে বৈঠক করেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken) সঙ্গে। মার্কিন বিদেশ সচিবের সঙ্গে আলোচনার পর ওয়াং উই বলেন, “চিন ও আমেরিকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু দুদেশের মধ্যে জটিলতাও রয়েছে। আমাদের এক সঙ্গে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। তাই দুই দেশের মধ্যে সংলাপ শুরু করার প্রয়োজন রয়েছে। সংলাপ শুধু শুরু করলেই হবে না, এগুলোকে গভীর এবং ব্যাপক স্তরে হতে হবে। যার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে স্থিতাবস্থা আসবে, সম্পর্কের উন্নতি হবে।” তাঁর এই বক্তব্যে সম্মতি জানিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, “উনি যা বলছেন আমি তার সঙ্গে একমত।” জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে হোয়াট হাউস যেতে পারেন ওয়াং উই।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তান ছাড়ার চূড়ান্ত বার্তা অবৈধ অভিবাসীদের, আতঙ্কে আফগান শরণার্থীরা]
বলে রাখা ভালো, চিনা বিদেশমন্ত্রীর এই সফরের পর আরও জোরালো হচ্ছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমেরিকা সফরের সম্ভাবনা। চলতি মাসের শুরুতে রয়টার্স সূত্রে খবর মিলেছিল, আমেরিকার (US) সংবাদপত্র দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের এক রিপোর্টে দাবি করেছে, নভেম্বরে সানফ্রান্সিসকোতে বৈঠকে বসতে পারেন বাইডেন (Joe Biden) ও শি জিনপিং (Xi Jinping)।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ওয়াশিংটনের আকাশে দেখা গিয়েছিল চিনের ‘গুপ্তচর’বেলুন। সেই বেলুনকে গুলি করে নামানো হয়। পরে জানা যায়, সেই চিনা বেলুন মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করেই আমেরিকার উপরে নজরদারি চালাতে চেষ্টা করেছিল। এছাড়াও দক্ষিণ চিন সাগর, তাইওয়ানের মতো একাধিক বিষয় নিয়ে দুদেশের মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে। সব মিলিয়ে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের সম্পর্ক যথেষ্ট জটিল পর্যায়ে রয়েছে। ফলে দুদেশের সম্পর্কের আদৌ কোনও উন্নতি হয় কি না সেদিকেই এখন নজর কূটনীতিকদের।