সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ‘ডজ’ কার্যকর হওয়া নিয়ে জোর চর্চা চলছে। ওয়াকিবহাল বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একদিন যদি শোনেন আমেরিকা থেকে শিক্ষা মন্ত্রক উঠে গেল, তাহলেও অবাক হবেন না। সেই সম্ভাবনা নিয়ে এখন নানা মহলে নানা আলোচনা। তবে সেই সঙ্গে আরও অনেক কিছুই হতে পারে। বহু লোকের চাকরি যেতে পারে। মার্কিন আমলাতন্ত্রের যে কাঠামো, তার খোল-নলচে বদলে যেতে পারে।
কী এই ডজ? ডজ হল ডিওজিই। ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি। ভোটের প্রচারে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এলে ফেডারাল সরকারের খরচ কমাবেন। তো খরচ কমাতে নতুন একটা দপ্তর তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। সেটাই হল ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি, ডজ। মার্কিন মুলুকে আশঙ্কা, এই ডজের সুপারিশে প্রায় এক লক্ষ সরকারি কর্মীর চাকরি যাবে। তাই লোকে একে বলতে শুরু করেছে, চাকরি খাওয়ার মন্ত্রক।
ডজের মাথায় ট্রাম্প এলন মাস্ককে বসিয়ে দিয়েছেন। মাস্ক টুইটার হাতে নেওয়ার পরই হাজার হাজার কর্মীকে গলাধাক্কা দিয়েছিলেন। চাকরি খাওয়া নিয়ে বেশ সুনাম আছে তাঁর। আর, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন উদ্যোগপতি বিবেক রামস্বামী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে গিয়ে ট্রাম্পকে জায়গা ছেড়ে দেন। ডজের মাথায় বসিয়ে তাঁকেও পুরস্কার দিয়েছেন ট্রাম্প। রামস্বামী রিপাবলিকান পার্টির প্রচারে সরকারি খরচ বাড়ার জন্য বাইডেন প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন। সঙ্গে, এও বলেছেন যে আমেরিকায় শিক্ষামন্ত্রক এবং ফেডারাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন, এফবিআই রাখারই দরকার নেই। অনেক সরকারি দপ্তর তুলে দিলেও কিছু যাবে আসবে না। তাতে বরং সরকারের খরচ বাঁচবে। নানা দপ্তরে পঁচাত্তর শতাংশ লোক কমানোর কথাও শোনা গেছে রামস্বামীর মুখে।