সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের উপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ কর বসানো হবে বলে ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত ২ এপ্রিল অন্যান্য দেশের মতোই চিনের উপরেও আছড়ে পড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুল্ক-বাণ। পালটা দিয়ে বেজিং জানায়, একই হারে তারাও সুদ চাপাবে আমেরিকার উপর। চিনের এমন পদক্ষেপ মোটেই পছন্দ হয়নি ট্রাম্পের। সোমবার তিনি সাফ জানালেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে চিনের উপর আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বসাবেন তিনি।

মার্কিন সময় সোমবার সকালে নিজস্ব সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে একটি পোস্ট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে লেখেন, 'গতকাল চিন পালটা ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমাদের উপর। আগে থেকেই মার্কিন পণ্যের উপর কর চাপাত চিন। সেটার পরেও আলাদা করে আবার শুল্ক ধার্য করা হল। যদিও আমি সকলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম, নতুন মার্কিন শুল্কের পালটা যদি কেউ কর বসায়, তাহলে সেই দেশের উপর আবারও শুল্ক চাপাবে আমেরিকা। তাই ৮ এপ্রিলের মধ্যে চিন যদি এই ৩৪ শতাংশ কর প্রত্যাহার না করে তাহলে পরের দিন অর্থাৎ ৯ এপ্রিল থেকে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে চিনা পণ্যের উপর।'
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যদি শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়, তাহলে চিনা পণ্যের উপর মার্কিন শুল্ক গিয়ে দাঁড়াবে ৯৪ শতাংশে। কারণ বিশ্বের সমস্ত দেশের পণ্যের উপরেই ১০ শতাংশ কর বসায় আমেরিকা। আলাদা করে চিনা পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে বলে গত ২ এপ্রিল জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে ইতিমধ্যেই চিনা পণ্যের উপর ৪৪ শতাংশ মার্কিন শুল্ক রয়েছে। যদি আরও ৫০ শতাশ অতিরিক্ত কর বসে তাহলে মোট শুল্কের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৯৪ শতাংশে।
শুধু কর চাপানোই নয়, ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শুল্ক নিয়ে তিনি বেজিংয়ের সঙ্গে আর কোনও আলোচনায় রাজি নন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, যেসব দেশ পালটা শুল্ক চাপায়নি তাদের সঙ্গে দর কষাকষি চলতেই পারে। ইতিমধ্যে একাধিক দেশ নাকি আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু চিনকে আর সেই সুযোগ দেওয়া হবে না বলেই সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে 'ব্ল্যাকমেল' বলে মনে করছে চিন। সেদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভুলের পর ভুল করছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসন যে কেবল ব্ল্যাকমেল করে, এই ঘোষণাই তার প্রমাণ।