সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মে মাসেই প্রথম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবমিলিয়ে মোট ৩৪টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে প্রাপ্ত এই সাজা এবার খারিজ করার আবেদন জানিয়ে আদালতে গেলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
ঠিক কী দাবি আইনজীবীর দলের? তাদের বক্তব্য, এই মামলা চালিয়ে নিয়ে গেলে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া প্রভাবিত হবে। জনাদেশকেও অসম্মান দেখানো হবে। প্রসিকিউটরদের তরফে এর জবাব দেওয়ার জন্য ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁরা জানিয়েছেন, ২০২৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় বারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ততদিন পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করতে রাজি আছেন। এই পরামর্শকে 'বিরক্তিকর' বলে পালটা তোপ দেগেছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে স্টর্মির সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক হয়েছিল বলে দাবি। অভিযোগ, বিষয়টা চেপে দিতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে এক চুক্তিতে সই করানো হয়েছিল। এমনকী অনেক অর্থও দেওয়া হয়েছিল। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্টর্মি যা অভিযোগ করেছেন, তা বার বারই খণ্ডন করেছেন বর্ষীয়ান নেতা। এর পরই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবার। এবার সেই সাজা খারিজের আবেদন আইনজীবীদের।
গতবার হেরে গেলেও এবার মহাসমারোহে মসনদে প্রত্যাবর্তন করেছেন ট্রাম্প। ৭১ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকানের ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র ইলেক্টোরাল কলেজ-ই জেতেননি, পপুলার ভোটেও জিতেছেন– এমন কৃতিত্ব তিনি ২০১৬ বা ২০২০ সালেও দেখাতে পারেননি। তাঁর এই বিপুল জয়ের পরেও দেশের একাংশের মানুষের আশঙ্কা, হোয়াইট হাউসে ফিরলে প্রথাগত ভারসাম্যকে হ্রাস করতেই থাকবেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় বসার আগে নানা হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।