সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র দু'দিনের মধ্যেই ডিগবাজি! স্মার্টফোন, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিন চিপস-সহ বহু পণ্যে শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা করার পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন, এমনটা মোটেও করেননি তিনি। বরং সংবাদমাধ্যম একহাত নিয়ে ট্রাম্পের তোপ, জেনেশুনে ভুল খবর পরিবেশন করা হচ্ছে।

শুল্ক ছাড় নিয়ে ঠিক কী পদক্ষেপ করেছিল আমেরিকা? গত শুক্রবার ট্রাম্প সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়, বৈদ্যুতিন পণ্যের উপর কোনওরকম পারস্পরিক শুল্ক চাপানো হবে না। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, বৈদ্যুতিন চিপসের পাশাপাশি অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার মধ্যে রয়েছে সেমিকন্ডাক্টর, সোলার সেল, ফ্ল্যাট প্যানেল টিভি ডিসপ্লে, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড এবং ডেটা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত সলিড-স্টেট ড্রাইভ এগুলির উপর কোনও পারস্পরিক শুল্ক চাপানো হচ্ছে না।
এখানে চিনের নাম না নিলেও আদতে এই নীতি চিনের উদ্দেশে লাগু হচ্ছে, এমনটাই মত ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ, বৈদ্যুতিন শিল্পের ক্ষেত্রে যেহেতু বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানুফ্যাকচারিং হাব চিন। ফলে তাদের উপর এই বিপুল পারস্পরিক শুল্ক আদতে ঘুরপথে আমেরিকার জন্য ক্ষতি। চিনে মার্কিন সংস্থাগুলির তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকায় বিক্রি করতে গেলে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হবে সংস্থাগুলিকে। আমেরিকার বাজারে দেখা দিতে পারে যোগানের ঘাটতি। যার পরিণতি হল, বৈদ্যুতিন পণ্যের দাম আকাশ ছোঁবে।
শুল্ক ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে কি আপোস করলেন ট্রাম্প? এই জল্পনার মধ্যেই নিজস্ব সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানালেন, 'মোটেই শুল্ক ছাড় দেওয়া হচ্ছে না কোনও দেশকে। সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর আগেই ২০ শতাংশ শুল্ক ছিল। এখন সেগুলিকে অন্য নীতিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যারা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তারা নিজেরাও গোটা বিষয়টি খুব ভালো করে জানে।' মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঙ্কার, শুল্কযুদ্ধে চিনকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না।