সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রৌদ্রজ্জ্বল দিন। শান্ত পরিবেশে ঘুরছেন পর্যটকরা। হঠাৎ কান ফাটানো আওয়াজ। কিছু বোঝার আগে আরও একবার বিকট শব্দ। চোখের সামনে লুটিয়ে পড়েন একের পর এক পর্যটক। তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নেয় ছেঁড়া ত্রিপলের তলায়। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামালায় কোনও মতে প্রাণে বেঁচে, সেই বিভীষিকাময় ক্ষণের কথা তুলে ধরলেন ওড়িশার পরিবার।
ওড়িশার কটকের বাসিন্দা সন্দীপ ভোলা। স্ত্রী, বাবা-মাকে নিয়ে যান কাশ্মীর। গিয়েছিলেন পহেলগাঁওয়ের বৈসরনেও। জঙ্গিরা যে সময় হামলা চালায় তখন তাঁরা ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। শোনেন তীব্র শব্দ। প্রথমে বুঝতে না পারলেও, পরপর গুলি চলছে বুঝতে পেরে আঁতকে ওঠেন। কোনও রকমে একটি ছেঁড়া তাবু বা ত্রিপলের, কাপড়ের ভিতরে আশ্রয় নেয় তাঁরা।
সন্দীপের বাবা রঞ্জিতবাবু বলেন, "আমরা যেখানে লুকিয়ে ছিলাম সেখান মাত্র ৫ ফিট দূরে তিনজনকে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে দেখি।" ১৪টি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন বলে জানান রঞ্জিত। পালাতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন সন্দীপের স্ত্রী ও মা। সন্দীপের মায়ের কব্জি ভেঙেছে বলে জানিয়েছেন সন্দীপ। তিনি বলেন, "যে সকল কাশ্মীরিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে তাঁরা খুব ভালো। কিন্তু যে ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখলাম তাতে আর ওখানে যাওয়ার সাহস হবে না।" জঙ্গি হানার কবল থেকে বেঁচে ২৬ তারিখ বাড়ি ফিরেছে ওড়িশার এই পরিবার।
