shono
Advertisement

Breaking News

Donald Trump

শান্তির পথে ফিরতে আর দেরি নয়, ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মঙ্গলেই ট্রাম্প-পুতিন কথা

এখনও রণক্ষেত্রে আগুন ঝরাচ্ছে কিয়েভ আর মস্কোর সেনা।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 02:29 PM Mar 17, 2025Updated: 02:29 PM Mar 17, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। শর্তসাপেক্ষে আপাতত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন যুযুধান দু'দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। কিন্তু এখনও রণক্ষেত্রে আগুন ঝরাচ্ছে কিয়েভ আর মস্কোর সেনা। তাই যুদ্ধবিরতি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। জারি রয়েছে প্রাণহানি। এই পরিস্থিতিতে আর দেরি করতে চাইছে না হোয়াইট হাউস। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবারই লড়াইয়ে ইতি টানা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Advertisement

সম্প্রতি সৌদি আরবে বৈঠক হয়েছে ইউক্রেন ও আমেরিকার মধ্যে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানেই ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানান তিনি। রাজি হয়েছেন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতেও। জেলেনস্কির থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি মস্কোয় মার্কিন আধিকারিকদের পাঠান ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তাঁর দূত স্টিভ উইটকফ কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে।

এরপরই গতকাল রবিবার ট্রাম্প এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, "মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাক্ষাৎ সদর্থক হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এই যুদ্ধে ইতি টানা। আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা সফল হতেও পারি আবার নাও হতে পারি। তবে আমাদের কাছে সুযোগ রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলব। সপ্তাহান্তে আমরা অনেক কাজ সেরে ফেলেছি।"

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, "ইউক্রেন রাজি। এখন সব কিছুই রাশিয়ার উপর নির্ভর করছে। ওরা যদি যুদ্ধবিরতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, ইউক্রেনে সেনা অভিযান জারি রাখে তাহলে এর ফল ভুগতে হবে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এটা ওদের জন্য ভালো হবে না। রাশিয়ার উপর বিপর্যয় নেমে। তবে আমি সেটা চাই না। কারণ শান্তির পক্ষে। আমার লক্ষ্য সমাধান সূত্র বের করা।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে চাপে ফেলে জেলেনস্কিকে যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি করিয়েছে আমেরিকা, সেভাবে কি রাশিয়াকেও রাজি করাতে পারেবন ট্রাম্প? তাঁর এই আর্থিক হুঁশিয়ারির কাছে কি মাথানত করবে মস্কো? এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আগেই বলে দিয়েছেন, তিনি রাশিয়াকে বিশ্বাস করেন না। ওরা যা খুশি করতে পারে। পুতিন নানাভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। ফলে মঙ্গলে ট্রাম্প-পুতিন কথা হলে কোনও রফাসূত্র মেলে কি না সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • যত দ্রুত সম্ভব রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা।
  • শর্তসাপেক্ষে আপাতত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন যুযুধান দু'দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।
  • কিন্তু এখনও রণক্ষেত্রে আগুন ঝরাচ্ছে কিয়েভ আর মস্কোর সেনা। তাই যুদ্ধবিরতি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
Advertisement