সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত কাজাখস্তান (Kazakhstan)। ইতিমধ্যেই সেদেশের রাজধানী আলমাটির বিমানবন্দর দখল করেছেন বিক্ষোভকারীরা। গোটা দেশেই বিক্ষোভ চললেও সবথেকে বেশি উত্তেজনা রাজধানীতেই। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, পুলিশের গুলিতে বহু বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। সরকারি ভাবে সেই সংখ্যা জানানো হয়নি। তবে জানানো হয়েছে, সংঘর্ষে মারা গিয়েছে ১২ জন নিরাপত্তা রক্ষী। আহত হয়েছেন ৩৫৩ জন।
কী কারণে এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কাজাখস্তানে? এর মূলে রয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুরু হওয়া বিক্ষোভ। জ্বালানি তেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর। তবে কেবল এই ইস্যুই নয়, এর সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক অসন্তোষও। ক্রমশই আন্দোলন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়। যার জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশে। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামার লক্ষণ নেই।
[আরও পড়ুন:বাজল না বাড়ির ফায়ার অ্যালার্ম, আমেরিকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৭ শিশু-সহ ১৩ জন]
বুধবার জনতার ক্ষোভের প্রশমন ঘটাতে প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ বর্তমান সরকারকেই বাতিল ঘোষণা করেন। কিন্তু এরপরই তিনি বিক্ষোভকারীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেন। তাদের দমন করতে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এক সেনার সাহায্যও চান। এরপর নতুন করে লাগামছাড়া হয়ে ওঠে বিক্ষোভ। অভিযোগ, বিমানবন্দরের পাঁচটি বিমান বিক্ষোভকারীরা ছিনতাই করেছে। শহরের পুলিশ ভবনগুলোতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া, কাজাখস্তান, বেলারুস, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান ও আরমেনিয়াকে নিয়ে গঠিত সিটিএসও নামে যে যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে, তার অধীনেই রুশ সেনাদের পাঠানো হচ্ছে। মধ্য এশিয়ার এই দেশটির বর্তমান ছবিটা ঠিক কেমন, তা বোঝা যাচ্ছে না। এমনও শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে বহির্বিশ্বের সঙ্গে কাজাখস্তানের যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ।