সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ভারত মহাসাগরে টহল দেবে জার্মান যুদ্ধজাহাজ। চিনা নৌবাহিনীর আধিপত্য খর্ব করতে এবং ভারত মহাসাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ও অবাধ যাতাযাত ব্যবস্থা কায়েম রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান নৌবাহিনী (German navy)।
[আরও পড়ুন: রাখে হরি মারে কে! তুরস্কে ভূমিকম্পের তিনদিন পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার একরত্তি]
সূত্রের খবর, ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার। জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানেগ্রেট ক্রাম্প-ক্যারেনবাওয়ার জানিয়েছেন, কয়েক মাস পর থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) টহলদারি ও নজরদারি চালাবে জার্মান নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট। দক্ষিণ চিন সাগরের মতো ভারত মহাসাগরে যাতে কোনওরকম সংকট বা বিবাদ না তৈরি হয় তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ করছে জার্মানি। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের প্রভাব কমাতেই কি এই পদক্ষেপ করছে জার্মানি? এর জবাব কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। চিন বিরোধী সামরিক জোট কোয়াড (চতুঃশক্তি জোট)-এ রয়েছে ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। চিন বিরোধী এই জোটের আমন্ত্রণে তাতে শামিল হয়েছে জার্মানিও। ফলে জার্মানিও বাকি চারটি দেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে চিন বিরোধী অক্ষ গড়ে তুলেছে।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় জার্মানির অবস্থানের একটা গুরুত্ব আছে। সি রুট হিসাবে এই এলাকার একটা বড় প্রভাব রয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। ভারত সহ বাকি দেশগুলি সেখানে আমাদের যুদ্ধজাহাজকে মোতায়েন রাখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ওই এলাকার নিরাপত্তা, অবাধ যাতায়াত ও আন্তর্জাতিক আইন বজায় রাখতে সাহায্য করবে জার্মানি। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বেজিং বলেছিল যদি তাইওয়ানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন স্থগিত না করা হয় তাহলে ভারতের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত রাজ্যগুলিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।