সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাডার হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ট্রুডোর প্রশাসন। এই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী ইন্দ্রজিৎ গোসাল নামে এক আততায়ীকে গ্রেপ্তার করেও মুক্তি দিল কানাডা পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ইন্দ্রজিৎ খলিস্তানি উগ্রপন্থী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ঘনিষ্ঠ। মনে করা হচ্ছে, পান্নুনের প্রভাবেই কানাডা পুলিশ মুক্তি দেয় তাকে।
গত ৪ নভেম্বর টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে হামলা চালায় খলিস্তানিরা। সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে খলিস্তানি তাণ্ডবের সেই ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে হলুদ পতাকাধারী জঙ্গিরা। রেহাই পায়নি মহিলা ও শিশুরাও। মারধর করা হয় তাদেরও। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। বরং এই হামলার ঘটনায় লিপ্ত হতে দেখা যায় তাদের। পুলিশের উপস্থিতিতেই মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চালায় খলিস্তানি জঙ্গিরা। এই হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় নয়াদিল্লি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বিষয়টি নিয়ে সরব হন। চাপের মুখে পড়ে এর পর এই ঘটনায় পদক্ষেপ নেয় ট্রুডো সরকার। ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হল মোট ৪ জনকে। তবে গ্রেপ্তারের পরই মূল অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনার তদন্তে কানাডা সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে।
জানা যাচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়া ৪ অভিযুক্তের মধ্যে মূল ষড়যন্ত্রকারী হল এই ইন্দ্রজিৎ। পান্নুন ঘনিষ্ঠ এই খলিস্তানি জঙ্গি টরন্টোর মন্দিরে হামলার ষড়যন্ত্র রচনা করেছিল। তবে গ্রেপ্তারের পর কানাডা পুলিশ। তাকে বলা হয় নির্ধারিত সময়ে আদালতে এসে উপস্থিত হতে। সূত্রের খবর, এই খলিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের ডান হাত। এমনকি নিজ্জরের মৃত্যুর পর খলিস্তানি সমস্ত কার্যকলাপ সামলাচ্ছে ইন্দ্রজিৎ। কানাডা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তকে ৪ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ঠিকই তবে পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায় সে।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মন্দিরে হামলার ঘটনায় কানাডা সরকার কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিলেও বাস্তবে আদৌ কতটা সক্রিয় ট্রুডো সরকার। অভিযোগ উঠছে, এই ঘটনায় মুখরক্ষার জন্য এই গ্রেপ্তারি চালানো হলেও বাস্তবে খলিস্তানিদের সমর্থন যোগাচ্ছেন ট্রুডো।