সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসন না মানায় আমেরিকার অন্যতম অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নেমে এল শাস্তির খাঁড়া। সম্প্রতি প্যালেস্টাইনে ইজরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল একাধিক মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এরপরেই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ বিরোধী নির্দেশিকা জারি করে মার্কিন প্রশাসন। সেই নির্দেশিকা মানতে নারাজ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরেই তাদের ২২০ কোটি ডলার সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে গত দেড় বছরে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া কয়েক লক্ষ। ১৮ মাসের যুদ্ধে গাজায় অন্তত ১৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম ৩৪ হাজার। অন্তত ১০ লক্ষ শিশু ঘরছাড়া! এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে গোটা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ। পশ্চিম বিশ্বের শিক্ষিত সমাজও ব্যতিক্রম নয়। আমেরিকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। যা একেবারেই না পসন্দ ট্রাম্প প্রশাসনের। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইহুদি-বিদ্বেষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ইহুদি-বিদ্বেষ বন্ধ করার জন্য কী কী করণীয়, সে বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। যা মানতে নারাজ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উলটে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিশ্বখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
এরপরেই হার্ভার্ডকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ২২০ কোটি ডলারের সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ২২০ কোটি ডলারের সাহায্য বন্ধের পাশাপাশি পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৬ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্থগিত রাখা হচ্ছে। এরপরেও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন এম গার্বার মাথা নত করতে রাজি নন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় নিজের স্বাধীনতাকে সঁপে দেবে না বা নিজের সাংবিধানিক অধিকারকেও ত্যাগ করবে না।”