সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। ‘অবৈধ ভাবে দখলদারি'র পাশাপাশি সেখানে সাধারণ মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। শাসনযন্ত্রের উপর ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সেই বিক্ষোভ থামাতে জনতার উপরেই খড়গহস্ত প্রশাসন। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের, আহত শতাধিক। রাষ্ট্রসংঘে তথ্য দিয়ে শাহবাজ শরিফ সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলল ভারত।
শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বতানেনি হরিশ। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ধারা অনুসরণ করে নিজেদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। আমরা জানি এই ধারণা পাকিস্তানে ভিনগ্রহী ব্যাপার।” কারণ সেখানে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রসঙ্গে হরিশ বলেন, “আমরা বলছি যে, অবৈধ ভাবে দখল করা এলাকায়, যেখানে সাধারণ মানুষ পাক সেনার শাসন, শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছে, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা বন্ধ করুক পাকিস্তান।”
ক'দিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের ফোর্থ কমিটির বৈঠকে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেন ভারতের প্রতিনিধি কেরলের বাম সাংসদ প্রেমচন্দ্রন। অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তানের দমন-পীড়ন নীতির বিরুদ্ধে সরব হন বাম সাংসদ। প্রেমচন্দ্রন বলেন, “আমরা পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি তারা যেন অবৈধভাবে দখল করে রাখা কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করে। ওখানকার মানুষ নিজেদের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছে। পাকসেনা এবং তাদের সহযোগীরা সেই নিরীহ আন্দোলনকারীদের হত্যা করেছে।”
পাকিস্তানের কুকীর্তির খতিয়ান তুলে সাংসদ আরও বলেন, ”পাকিস্তান হল এমন একটি দেশ যেখানে সামরিক একনায়কতন্ত্র চলে। ভুয়ো নির্বাচন, জনপ্রিয় নেতাদের কারাদণ্ড, ধর্মীয় উগ্রবাদ, রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসবাদের জনক এই দেশ। ফলে ওদের অন্যকে জ্ঞান দেওয়া উচিত নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।”
