shono
Advertisement
Maldives Election

'ইন্ডিয়া আউট' মন্ত্রে ফের বাজিমাত চিনপন্থী মুইজ্জুর? মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে চোখ দিল্লির

বর্তমানে মালদ্বীপের পার্লামেন্ট রয়েছে মুইজ্জুর বিরোধীদের দখলে।
Posted: 01:43 PM Apr 21, 2024Updated: 01:43 PM Apr 21, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার হাতে থাকবে মালদ্বীপ (Maldives) পার্লামেন্টের রাশ? 'ইন্ডিয়া আউটে'র ডাক দেওয়া মহম্মদ মুইজ্জু নাকি ভারতপন্থী ইব্রাহিম মহম্মদ সোলি? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে রবিবার। দ্বীপরাষ্ট্রে নির্বাচনের দিকে নজর থাকবে ভারতেরও। এই নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতেই মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও নির্ধারিত হবে।

Advertisement

গত সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে চিনপন্থী মুইজ্জু। প্রচারজুড়ে ভারত বিরোধিতার ডাক দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ভারতীয় সেনাকে 'বিতাড়ন' করার সিদ্ধান্ত নেন। মালদ্বীপে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো গড়তে বরাত দেন চিনা (China) সংস্থাগুলোকেও। মুইজ্জুকে ব্যবহার করে ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে বেজিং, একথা কার্যত দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার।

[আরও পড়ুন: শান্তির ‘দাম’ ১৩০০ কোটি? ইজরায়েলকে সামরিক সাহায্য দিয়ে যুদ্ধ এড়ানোর পরিকল্পনা আমেরিকার

কিন্তু চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট থাকলেও মালদ্বীপের পার্লামেন্টের দখল রয়েছে মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। সেই দলের প্রধান মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোলি, যিনি ভার‍তপন্থী বলেই পরিচিত। সেই পার্লামেন্টেরই নির্বাচন হবে রবিবার। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সোলি সাফ জানিয়েছেন, মুইজ্জুর কাজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালদ্বীপ। পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিতে সেই ক্ষতি মেরামত করবেন তিনি। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমাজনক মন্তব্য করেছিলেন মুইজ্জুর তিন মন্ত্রী। তার পর থেকেই মালদ্বীপ যাওয়া কার্যত বন্ধ করে দিয়েছেন ভারতীয়রা। বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে মালদ্বীপের পর্যটন।

এহেন পরিস্থিতিতে মুইজ্জুর দলের নেতারাও মনে করছেন, মালদ্বীপের বিদেশনীতির কথা মাথায় রেখেই ভোট দেবেন আমজনতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার কথায়, পার্লামেন্টের বিরোধিতার জেরে কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারছেন না মুইজ্জু। বরং পার্লামেন্টের চাপে পড়ে তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তও করতে হয়েছে তাঁকে। তাই পার্লামেন্ট নির্বাচনে জিততে মরিয়া মুইজ্জুর দল। কিন্তু মুইজ্জুর দল ক্ষমতায় এলে 'দীর্ঘদিনের বন্ধু' ভারতের (India) সঙ্গে সম্পর্কে আরও অবনতি হতে পারে, অনুমান মালদ্বীপবাসীর। কোনদিকে যাবে মালদ্বীপের জনমত? উত্তর মিলবে সোমবার সকালে। মালদ্বীপের সঙ্গে কি সুসম্পর্ক বজায় রাখা যাবে? এই নির্বাচন থেকে উত্তর পাবে নয়াদিল্লিও। 

[আরও পড়ুন: বেবি পাউডার থেকে ক্যানসার, ফের অস্বস্তিতে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’! বিপুল জরিমানা সংস্থাকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গত সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে চিনপন্থী মুইজ্জু। প্রচারজুড়ে ভারত বিরোধিতার ডাক দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ভারতীয় সেনাকে 'বিতাড়ন' করার সিদ্ধান্ত নেন।
  • চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট থাকলেও মালদ্বীপের পার্লামেন্টের দখল রয়েছে মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। সেই দলের প্রধান মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সোলি, যিনি ভার‍তপন্থী বলেই পরিচিত।
  • মুইজ্জুর দলের নেতারাও মনে করছেন, মালদ্বীপের বিদেশনীতির কথা মাথায় রেখেই ভোট দেবেন আমজনতা।
Advertisement