shono
Advertisement

লাদাখ নিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক জয়শংকরের, এবার কি সীমান্তে ফিরবে শান্তি?

নিজেই টুইট করে এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন জয়শংকর।
Posted: 02:12 PM Jul 07, 2022Updated: 02:12 PM Jul 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবিলম্বে সীমান্ত সমস্যার সমাধান চেয়ে বৈঠকে বসলেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রীরা। জি-২০ দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে  (G-20 Summit) যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গিয়েছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। সেখানেই চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর (Wang Yi) সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেছেন তিনি। নিজেই টুইট করে এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন জয়শংকর।

Advertisement

টুইটে জয়শংকর বলেছেন, “চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করে আজকের সকাল শুরু হল। এক ঘণ্টা ধরে আমাদের কথা বার্তা হয়েছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সীমান্ত পরিস্থিতির প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়াও দুই দেশের পড়ুয়াদের সুযোগ সুবিধা এবং দুই দেশের বিমান পরিষেবা সম্পর্কে কথা হয়েছে।” জয়শংকর আরও জানিয়েছেন, ভারত-চিন সম্পর্ক তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে- পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা ও পারস্পরিক স্বার্থ।  

[আরও পড়ুন: ‘নূপুর শর্মা পয়গম্বরকে অপমান করেছে, আমি মা কালীকে সম্মান জানিয়েছি’, নিজের মন্তব্যে অনড় মহুয়া]

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে যা সমস্যা রয়েছে, দ্রুত সেগুলির সমাধান করা হোক, বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। কিছু এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই সেনা প্রত্যাহার করেছে চিন। সেই কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar Meeting) জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। তাহলেই সীমান্তে শান্তি বজায় থাকবে।”

আরও জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের অবস্থান নিয়েও আলোচনা হয়েছে বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে। বেশ কিছুদিন ধরেই সীমান্ত থেকে সেনা সরানো নিয়ে বেশ চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা সরানো হলেই দুই দেশের মধ্যে শান্তি বজায় থাকবে, এমন দাবি করা হয়েছে ভারতের তরফ থেকে। মে মাসেই সীমান্ত এলাকায় সিনিয়র কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক করতে সম্মত হয়েছিল দুই দেশ। যদিও সেই বৈঠক হয়নি এখনও। সেনা সরানো নিয়ে একমত হতে পারেনি দুই দেশ।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত বছরেও মোদি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লামাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বত ইস্যুতে চিনের বিরুদ্ধেই রয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়েও বেশ কয়েকবার সুর চড়িয়েছে ভারত সরকার। সব মিলিয়ে নরমে গরমে ভারতের ইঙ্গিত পরিষ্কার, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে চিনকে।  

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় পদত্যাগ চল্লিশ মন্ত্রীর, ‘বরিস হঠাও’ আন্দোলনে কি নির্বাচনের দিকে হাঁটছে ব্রিটেন?]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement