সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৫ বছর পরে সম্মুখ সমরে মুখোমুখি দুই দেশ ইরান ও ইজরায়েল। এই মহা-সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ভয়ংকর সংঘাত হয়ে উঠতে পারে বলে মত ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন-ঘনিষ্ঠ এবং আরব দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিল তেহরান। পরিষ্কার জানিয়ে দিল ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় ইজরায়েলকে কোনওরকম সাহায্য করলে তার ফল ভুগতে হবে! এক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, গুপ্ত কূটনৈতিক মাধ্যমে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাী, জর্ডন, কাতারের মতো দেশকেই মূলত এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এই সব দেশেই মার্কিন সেনাঘাঁটি রয়েছে। গত ১ অক্টোবর হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে প্রায় ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। কোনও ছায়াগোষ্ঠী নয়, সরাসরি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তাদের যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে জানান, ‘‘ইরানকে এই ভুলের ফল ভুগতে হবে।’’ এহেন পরিস্থিতিতে ইরান ও ইজরায়েলের ‘মল্লযুদ্ধের’ মাঝে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। এবার তাই হুঁশিয়ারি দিল ইরান।
জানা যাচ্ছে, এই অবস্থায় জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশগুলির তরফে বাইডেন প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, কোনওভাবেই তাদের যেন এই সংঘাতের মধ্যে না টানা হয়। তাদের মাটি কিংবা সেনা পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে যেন তেহরানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকে আমেরিকা ও ইজরায়েল। তাদের আশঙ্কা, এমনটা হলে তেলের খনিই হতে পারে ইরানের প্রাথমিক লক্ষ্য।
হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। যদিও ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, বেশিরভাগই প্রতিরোধ করা গিয়েছে। তেল আভিবের কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু মানুষ আহতও হয়েছেন। যার পর নেতানিয়াহু স্বভাবসিদ্ধ হুঙ্কারে জানিয়েছেন, বিরাট ভুল করে ফেলেছে ইরান। যথাসময়ে এর 'জবাব' দেবে ইজরায়েল। এই পরিস্থিতিতে ইরানের পালটা হুঁশিয়ারিতে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে আরও কালো মেঘ ঘনাতে শুরু করল।