সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে শান্তির লক্ষ্যে আলোচনা পর্ব জারি রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, যুদ্ধবিরতির (Israel-Hezbollah Ceasefire) পথে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল। অন্যদিকে সমানতালে চলেছে হামলা ও পালটা হামলা। মঙ্গলবার ফের লেবাননের অন্তত ২০ জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইজরায়েল সেনা। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল যুদ্ধবিরতির পথে অনেকখানি এগিয়েছে ইজরায়েল। সংঘর্ষবিরতিতে যে সব শর্ত চাপানো হয়েছে তার মুখ্য বিষয়গুলি মেনে নেওয়া হলেও এখনও একাধিক বিষয়ে আলোচনা বাকি রয়েছে। গত রবিবার হেজবোল্লার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার পরই প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। নেতানিয়াহুর এক মুখপাত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’কে জানিয়েছেন, “আমরা এই পথে অনেকখানি এগিয়েছি ঠিকই, তবে এখনও বহু বিষয়ে আলোচনা বাকি রয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে চলেছে আমেরিকা। হেজবোল্লার সঙ্গে নেতানিয়াহুর এই বৈঠক করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমোস হোচস্টেইন।
যুদ্ধবিরতির পথে আলোচনা যখন এতখানি এগিয়ে গিয়েছে সেই সময় এই হামলা নতুন করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে লেবাননের ২০টি জায়গা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। ইজরায়েল সেনার দাবি, হামলার মূল টার্গেট ছিল দেহিয়ার ১৩টি জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকা। বেইরুটের এই এলাকাকে হেজবোল্লার অন্যতম বড় ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। জানা গিয়েছে, হেজবোল্লার এরিয়াল ডিফেন্স ইউনিট সেন্টার, একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র, কমান্ড সেন্টার, অস্ত্র ভাণ্ডার রয়েছে এমন সব জায়গায় বেছে বেছে হামলা চলে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মাঝেই গত রবিবার ইজরায়েলে অন্তত ৩৪০টি মিসাইল ছুড়েছিল হেজবোল্লা। আসলে গত শনিবার হেজবোল্লা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। সেই হামলায় মোট ২৯ জনের মৃত্যু হয়। তারই প্রতিক্রিয়ায় গত রবিবার মিসাইল ছোড়ে হেজবোল্লা। তারই পালটা এদিন বেইরুটে হামলা চালাল ইজরায়েল সেনা।