সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার "বদলা নিতে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছে।" ব্রিটেনের পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স-এর বহুদলীয় গোষ্ঠী ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর দ্য কমনওয়েলথ’-এর রিপোর্টে এমন চাঞ্চল্যকর কথা বলা হয়েছে। পাতায় পাতায় বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে। ইতিমধ্যে যা পাঠানো হয়েছে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির কাছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, নতুন জমানায় বাংলাদেশে দু’হাজারের বেশি হিংসার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, "আমরা এমন প্রমাণ পেয়েছি যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আইনকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন। অন্যথায় তা মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তির পক্ষে ভাল হবে না।" বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে নিপীড়নের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বিস্তৃত ভাবে রয়েছে বিস্ফোরক রিপোর্টে।
উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন সরকারের আমলে ধর্মীয় এবং অন্য সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। রিপোর্টে বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ লিপিবদ্ধ হয়েছে। তাদের দাবি, সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের চিহ্নিত করে আক্রমণ করা হচ্ছে। "চলতি বছরের ৪ থেকে ২০ আগস্টের মধ্যে ২০১০টি সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে খুন, নারী-নির্যাতন, লুটপাট, জোর করে বাড়ি দখলের মতো ঘটনাও।" ইসকনে সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি, তার জেরে বাংলাদেশে হিংসার আগুন ছড়ানোর ঘটনা যখন সামনে আসছে, তখন ব্রিটেনের এই রিপোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। এই রিপোর্টে অস্বস্তি বাড়ল ইউনুস সরকারের।