সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৭০০-তে পৌঁছে গিয়েছে। এখনও মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যতই উদ্ধারকাজ এগোচ্ছে ততই ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক প্রাণহীন দেহ। এ বার ‘মহাভূমিকম্প’ এবং বিধ্বংসী সুনামির আশঙ্কা প্রকাশ করল জাপান। সেই ভয়ংকর দুর্যোগে ৩ লক্ষ পর্যন্ত মানুষ মারা যেতে পারেন বলেই দাবি।
জাপান সরকারের এক নতুন রিপোর্টেই এই 'প্রলয়ে'র আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘নানকাই ট্রফ’ নামে সমুদ্রের তলদেশের এক এলাকা (শিজুওকা থেকে কিউশু পর্যন্ত ৮০০ কিলোমিটার বিস্তৃত সমুদ্রতলের চ্যুতিকে এই নামে ডাকা হয়) সেই শক্তিশালী ভূমিকম্পের উৎস হবে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি ১.৮১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
২০২৪ সালেই দক্ষিণ জাপানে এক ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.১। সেবারও ভয়াবহ বিপর্যয়ের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আশঙ্কার থেকে কমই ছিল মাত্রা। নয়া রিপোর্টে দাবি, এবারের ভূমিকম্পের মাত্রা হবে আরও অনেকটা বেশি। অবিকল আন্দাজ করা সম্ভব নয়। তবু যদি রিখটার স্কেলে সেই মাত্রা থাকে ৯-এর বেশি সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হতে পারেন। যা জাপানের জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। যদি ওই কম্পন রাতের দিকে নৈশভোজের সময় হয় সেক্ষেত্রে ২ লক্ষ ৯৮ হাজার মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
২০১৩ সালে জাপানের সরকারি বিপর্যয় সতর্কতা বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিল, নানকাই ট্রফে কম্পনের ক্ষেত্রে রিখটার স্কেলের মাত্রা ৯.১ হলে সুনামি ধেয়ে আসবে। সেক্ষেত্রে জল ১০ মিটার তথা ৩৩ ফুট উপরে উঠতে পারে। আর তেমন হলে ৩ লক্ষ ২৩ হাজারের মৃত্যু হতে পারে। ধ্বংস হয়ে যাবে ২০ লক্ষ বাড়ি।