সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পের কবলে মায়ানমারে। রবিবার সকালে আবারও কেঁপে উঠল মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত ২৮ মার্চের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি সামলে ওঠার আগেই এদিন ফের এই ভূমিকম্পে বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, রিখটার স্কেলে এদিনের ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৫।
মায়ানমারের আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানা গিয়েছে, রবিবারের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মান্ডালয় থেকে ৯৭ কিলোমিটার দক্ষিণে উন্ডউইন টাউনশিপ এলাকায়। ভূপৃষ্ট থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। যদিও মার্কিন ভূতত্ত্ববিদদের দাবি, কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ট থেকে ৭.৭ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। বেশকিছু বাড়ির ছাদ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কবলে পড়েছিল মায়ানমার। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত গুঁড়িয়ে যায় একের পর এক বহুতল, ব্রিজ। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সেদেশের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রভাব পড়ে মায়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে এখনও পর্যন্ত মায়ানমারে মৃত্যু হয়েছে ৩১০০ মানুষের। এই ঘটনার পরই মায়ানমারকে সাহায্য করতে অপারেশন ব্রহ্মা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিও মায়ানমারকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে।
মায়ানমারে পর পর এই ভূমিকম্পের কারণ ব্যাখ্যা করে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের ফাটলের কাছে অবস্থিত মায়ানমার। এই ভারতীয় প্লেট প্রতিবছর ৫ সেন্টিমিটার হারে ইউরেশিয়ান প্লেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়াও এই অংশে রয়েছে বেশকিছু ফল্ট জোন। ‘সাংহাই ফল্ট’ এর মধ্যে অন্যতম। এই ভৌগলিক সমস্যার কারণেই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে উঠে এসেছে মায়ানমার। এর আগেও একাধিকবার বড় ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে এখানে।
Advertisement

