shono
Advertisement

সেনার বিরুদ্ধে প্রচারের অভিযোগ, জুন্টার আদালতের নির্দেশে ফের কারাগারে মায়ানমারের নেত্রী সু কি

চার বছর কারাবাস সু কি'র।
Posted: 05:05 PM Dec 06, 2021Updated: 05:58 PM Dec 06, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কারাবন্দি হওয়ার পথে মায়ানমারের তথাকথিত গণতান্ত্রিক নেত্রী আং সান সু কি (Aung San Suu Kyi)। চার বছরের জেল হল তাঁর। সেনার বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য এবং কোভিডবিধি ভাঙা – জোড়া মামলায় সোমবার তাঁর সাজা ঘোষণা করল মায়ানমারের জুন্টা আদালত। খবরটি জানিয়েছেন জুন্টার (Junta) মুখপাত্র জাও মিন তুন। এর মধ্যে স্রেফ কোভিডবিধি ভঙ্গের জন্য ৫০৫ (বি) ধারায় তাঁর ২ বছরের কারাবাস হয়েছে। আরও ২ বছর সু কি-কে জেলে থাকতে হবে জুন্টাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের অপরাধে।

Advertisement

জেলযাত্রা নতুন নয় মায়ানমারের (Myanmar) গণতান্ত্রিক নেত্রীর। বরং তাঁর জীবনের অধিকাংশই কেটেছে কারাগারে। সেনা শাসনাধীন মায়ানমারে একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে সু কি-কে দীর্ঘ সময়ে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তিনি মুক্তি পেয়ে গণতান্ত্রিক পথে হেঁটে, ভোটে লড়াই করে রাষ্ট্রপ্রধানও নির্বাচিত হন। মায়ানমারে ফিরে আসে গণতন্ত্র। কিন্তু সু কি দেশের প্রধান হয়ে কুরসিতে বসার পর পরই তাঁর বিরুদ্ধে ফের একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে। এমনকী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন: যৌন কেলেঙ্কারি থেকে ভাইকে বাঁচানোর চেষ্টা! চাকরি খোয়ালেন জনপ্রিয় সঞ্চালক]

সংবাদ সংস্থা এএফপি (AFP) সূত্রে খবর, সু কি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা চলছিল। পরে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। মায়ানমারের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে মাস তিনেক আগেই এই খবর প্রকাশ্যে আসে। গত জুন মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, রাজধানী নাইপিদাওয়ের একটি থানায় সু কি’র বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁর দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে। অভিযোগ, ‘Daw Khin Kyi Foundation’ নামের একটি দাতব্য সংস্থার জমি নয়ছয় করেছেন সু কি ও তাঁর সঙ্গীরা। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ২০ বছরের জেলের সাজা হতে পারত। আর গত নির্বাচনের সময় কোভিডবিধি ভঙ্গের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

[আরও পড়ুন: মায়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের পিষে দিল সেনার গাড়ি, নিহত ৫]

সোমবার নাইপিদাওয়ের আদালতে সু কি’র মামলার শুনানি চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। যাতে সু কি নিজে সংবাদমাধ্যমে কোনও বক্তব্য পেশ করতে না পারেন, তাই এই নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর আইনজীবীদের আগেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এদিন শাস্তি ঘোষণার পর সু কি-কে কোথায় রাখা হবে, তা এখনও জানা যায়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement