সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জর্জ ফ্লয়েডের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন আমেরিকার প্রচুর মানুষ। ট্রাম্প প্রশাসনের মদতেই এই ধরনের ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ। আগামী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ঠিক এই সময়ে মার্কিন মুকুলে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হলেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের চেয়ারম্যান কুমারমঙ্গলম বিড়লার স্ত্রী নিরজা ও তাঁদের দুই সন্তান অনন্যা এবং আর্যমান। তাঁদের হেনস্তা করার পাশাপাশি একটি রেস্তরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলস (Los Angeles) -এর একটি রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন কুমারমঙ্গলম বিড়লার স্ত্রী ও দুই সন্তান। সেখানেই তাঁদের হেনস্তা করা হয়। শনিবার এপ্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনন্যা বিড়লা প্রথমে টুইট করেন, ‘আমরা ওই রেস্তরাঁয় খাওয়ার জন্য তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। কিন্তু, একজন ওয়েটার জোশুয়া সিলভারম্যান আমার মায়ের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছেন। বর্ণবিদ্বেষ (racism) -এর শিকার হয়েছি।’
[আরও পড়ুন: নবরাত্রিতেও অমানবিক পাকিস্তান, সিন্ধু প্রদেশে ভাঙা হল দেবী হিংলাজের মূর্তি ]
পরে অন্য একটি টুইটে তিনি উল্লেখ করেন, ‘ওই রেস্তরাঁ থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে আক্ষরিক অর্থে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বর্ণবিদ্বেষের এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। খরিদ্দারের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করা হবে তা ওই রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের শেখা উচিত।’
তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন কুমারমঙ্গলম বিড়লার স্ত্রী নিরজা বিড়লা (Neerja Birla)-ও। তাঁর কথায়, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। জীবনে কখনও এই রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়নি। বর্ণবিদ্বেষ যে আছে আজ তার প্রমাণ পেলাম। সত্যি ঘটনাটি যে ঘটেছে তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না। খরিদ্দারদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করার কোনও অধিকার নেই রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের।’