সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) জলসীমার মধ্যে মিসাইল হামলা চালাল উত্তর কোরিয়া। বুধবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্য করে অন্তত দশটি মিসাইল ছোঁড়ে কিম জং উনের দেশ। তার মধ্যে একটি জাপান সাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমায় আছড়ে পড়ে। তবে চুপ করে থাকেনি দক্ষিণ কোরিয়াও। পালটা জবাব দিয়ে মিসাইল ছোঁড়ে সিওল। উত্তর কোরিয়ার (North Korea) হামলার কড়া নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। উপকূলের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বিমানের রুটও বদল করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
বুধবার সকালে উত্তর কোরিয়ার (North Korea Missile Attack) দিক থেকে মিসাইল হামলা শুরু হয়। জাপান সাগরের মধ্যে দুই দেশের সীমানা অতিক্রম করে উড়ে আসে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার প্রায় ষাট কিলোমিটার ভিতরে সমুদ্রের মধ্যে আছড়ে পড়ে একটি মিসাইল। তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সরকারের তরফে সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশিকা জারি করে বাসিন্দাদের নিরাপদ বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বলা হয়। কিছুক্ষণ পরেই উত্তর কোরিয়ার তরফে জানানো হয়, নানা দিকে লক্ষ্য করে মোট দশটি মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:খনি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর, ED দপ্তরে তলব হেমন্ত সোরেনকে]
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার তরফ থেকে এই গোটা ঘটনা নিয়ে সরকারিভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৫৩ সালের পর দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমার এত ভিতরে মিসাইল হামলা চালায়নি উত্তর কোরিয়া। এই ঘটনাকে দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বলেই ধরে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই হামলা একেবারেই মেনে নেবে না দক্ষিণ কোরিয়া। দেশের উপর এই আক্রমণের যোগ্য জবাব দেবে সিওল।
এই হামলার পরেই দেশের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এহেন হামলার পরে কড়া প্রত্যুত্তর দিতেই হবে কিম জং উনের দেশকে। হামলার তিন ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে পালটা জবাব দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। সবমিলিয়ে তিনটি মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে সিওল। সেদেশের দাবি, উত্তর কোরিয়ার জলসীমা পেরিয়েই আছড়ে পড়েছে এই মিসাইলগুলি। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার একে অপরকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছুঁড়েছে দুই কোরিয়া। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার এই হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাপানও। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেদেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।