সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেরিয়ে গিয়েছে আড়াই বছরেরও বেশি সময়। এখনও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আমেরিকার হাতিয়ারে বলীয়ান হয়ে মস্কোকে পালটা মার দিচ্ছে কিয়েভ। তাই রণক্ষেত্রে রুশ ফৌজের শক্তি বাড়াতে সেনা পাঠিয়েছে 'বন্ধু' উত্তর কোরিয়া। কিন্তু এ কী কাণ্ড! রাশিয়ায় গিয়ে নাকি পর্ন দেখছেন কিম জং উনের জওয়ানরা। সেদেশে অবাধ ইন্টারনেট পরিষেবা পেয়ে নীল ছবিতেই মজেছেন তাঁরা! বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে এমনই খবর।
উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের কঠোর শাসন নীতির কথা সর্বজনবিদিত। তাঁর নজর এড়িয়ে একটি মাছি গলার উপায় নেই দেশে। আর একনায়ক কিমের কঠোর নিয়মের বেড়াজাল ভাঙার চেষ্টা করলেই নেমে আসতে পারে মৃত্যুর খাঁড়া। অস্ত্রভাণ্ডারের দেখাশোনা থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন কিম। তাঁর সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর আর ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পান না জওয়ানরা। কিন্তু রাশিয়াতে গিয়ে এই প্রথমবার অবাধে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা। আর তারই ফল হল এই পর্ন আসক্তি। সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়েই সোশাল মিডিয়ায় কথা বলেছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক গিডিয়ন ব়্যাচম্যান।
এক্স হ্যান্ডেলে ব়্যাচম্যান জানান, 'রাশিয়ায় সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে তাঁরা এর আগে কখনও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাননি। কিন্তু রাশিয়ায় গিয়ে তাঁরা অবাধে ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। আর তাই তাঁরা নীল ছবিতে মজেছেন।' আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কিমের সেনার কীর্তিতে অস্বস্তি বেড়েছে রুশ প্রশাসনের। অস্বস্তিতে পড়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। গোটা বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নেননি তিনি। এদিকে, দিন চারেক আগেই যুদ্ধক্ষেত্রে কিমের সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে কথা জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিশ্লেষকদের মতে, কিমের জওয়ানদের পর্ন আসক্তিকেই যুদ্ধে নয়া হাতিয়ার করতে পারে আমেরিকা ও ইউক্রেন। যা বিপদে ফেলতে পারে রাশিয়াকে।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে আমেরিকা দাবি করে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এনিয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা সংযোগ উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, “কয়েকটি রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, রাশিয়ার পূর্ব অঞ্চলে কমপক্ষে ১০ হাজার সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়ার সেনা ঘাঁটিতে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের অনুমান, এই সৈন্যরা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করবে। গোটা পরিস্থিতির উপর আমরা তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। এই বিষয়ে ইউক্রেনের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা চলছে।” এর পরই জেলেনস্কির দেশকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে আমেরিকা।